প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতের কবলে পড়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী। মধ্য পৌষেই তীব্র শীতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জনজীবন। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের মুখ না দেখায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।.
.
শীতের প্রকোপে হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে মাঠে কাজ করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন কৃষকরা। নি¤œআয়ের মানুষ শীত নিবারণের জন্য পুরোনো শীতবস্ত্র কিনছেন, আবার অনেককে খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে।.
.
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ফুলবাড়ী পৌরশহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলো ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। টানা তিন দিন সূর্যের আলো না পাওয়ায় নি¤œআয়ের শ্রমজীবী মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।.
দেখা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার মধ্যেও জীবিকার তাগিদে একাধিক গরম কাপড় পরে কাজে বের হয়েছেন দিনমজুর ও শ্রমজীবীরা। তবে সাধারণ দিনের তুলনায় মানুষের চলাচল কম থাকায় রিকশাচালকসহ অনেক কর্মজীবী মানুষকে যাত্রী না পেয়ে শীতের কাপড় গায়ে জড়িয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সূর্যের আলো না থাকায় কুয়াশার মধ্যে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে, এতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।.
উপজেলার চকচকা গ্রামের দিনমজুর মনতা হোসেন বলেন, প্রচÐ শীত আর উত্তরের হাওয়ায় মাঠে কাজ করা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। তবুও সংসারের তাগিদে কাজে বের হতে হচ্ছে। কাজ না করলে পরিবার চালানো সম্ভব নয়।.
.
একাধিক রিকশাচালক জানান, ঘন কুয়াশার কারণে শহরে লোকসমাগম কম থাকায় যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। শীতের কারণে অনেকেই রিকশায় উঠতে চাচ্ছেন না। তবুও জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিন রিকশা নিয়ে বের হতে হচ্ছে। এদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে।.
.
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।.
তিনি আরও জানান, এই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: