
কমলনগর(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের কমলনগর সীমান্ত এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে একজনকে তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন এবং স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। .
.
ভুক্তভোগী মো. হানিফের পরিবার অভিযোগ করে জানায়, শনিবার (১৯ জুলাই) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মো. আলমগীর, তার ছেলে লিটন, মো. আনোয়ার, জহির, তোবারক আলী ও তার ছেলে মাকছুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল ঘরে ঢুকে হানিফ ও তার স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর মুখে কাপড় বেঁধে ঘরে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। পরে হানিফকে তুলে নিয়ে যায় তোবারক আলীর বাড়িতে এবং সেখানে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।.
.
সকালে হানিফ অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা তাকে কমলনগর থানায় নিয়ে যান এবং সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে জানা গেছে। এরপর থানায় দায়ের করা একটি মামলার (এফআইআর নং: ০৯/২০২৫) আওতায় হানিফকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে তিনি কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।.
.
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা পিয়ারা বেগম ও মো. রুবেল জানান, রাতে হানিফকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা।.
হানিফের স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, “ঘরে ঢুকে আমাদের হাত-পা বেঁধে রেখে স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়, তবে তারা কিছু করার আগেই চলে যায়।”.
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনোয়ার প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে হানিফকে থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি স্বীকার করেন। অভিযুক্ত আর কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।.
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একটি নিয়মিত মামলার আসামী হিসেবে তাকে আটক করে জেল হাজতে পেরণ করি।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: