 
             
			
           
 শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে
ফুলবাড়ীর হাট-বাজারগুলোতে
সেজেছে নারিকেলের পসরা
দ্বিগুণ দাম হওয়ায় নাগালের বাহিরে মধ্যবিত্তদের
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিমা তৈরি, ম-প সাজসজ্জার কাজসহ পুরোদমে ঘরে ঘরে চলছে দেবীকে বরণ করার নানান আয়োজন।
    আর ক’টা দিন বাদেই পূজো শুরু। দুর্গাপূজায় মা দুর্গাকে হরেক রকমের ফলমূলে পাশাপাশি দিতে হয় নারিকেল ও নারিকেলের নাড়–। শুধু মা দুর্গার জন্যই নয় এ নাড়–র আয়োজন। এসময় বাড়িতে আগত অতিথিদের আপ্যায়নেও রাখতে হয় নারিকেল নাড়–। আরো রাখতে হয় ফলমূল, মোয়াসহ নানান প্রকারভেদে মিষ্টি।
    এ উপলক্ষে ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা মিলছে সাজিয়ে রাখা নারিকেলের পসরা। তবে নারিকেলের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তের নাগালের বাহিরে রয়েছে। এদিকে দাম বেশি হওয়ায় প্রশাসনের বাজার মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
পৌরবাজার ঘুরে জানা যায়, বাজারে নারিকেলের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। গত পূজায় এক জোড়া নারিকেলের দাম ছিল আকার ভেদে ৮০, ১০০ বা ১২০ টাকা। সেই নারিকেল এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা জোড়া। এদিকে বেড়েছে গুড়েরও দাম। যে গুড় গতবছর মিলেছে ৭০-৯০ টাকায় সেই গুড় এবছর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১১০ টাকায়।
    এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে নারিকেলের দাম বেশি ধরায় আমরাও একটু বেশি দামেই বিক্রি করছি।
পৌরএলাকার সুজাপুর গ্রামের প্রদীপ রায় ও কাটাবাড়ী গ্রামের মিনা রানী বলেন, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে সংসারে অন্য মাসের তুলনায় অভাব দেখা দেয়। কিন্তু যতই অভাব হোক না কেন, মা দুর্গার পূজায় ফলমূল, মোয়া, নাড়–, নারিকেল দিতে হয়। কিন্তু বাজারে নারিকেল বেশি মূল্যে কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের। তারা আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর নারিকেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বেড়েছে গুড়ের দাম। প্রশাসনের উচিৎ বাজার মনিটরিং করা।
পৌর বাজারের কেন্দ্রীয় কালী মন্দির সংলগ্ন নারিকেল বিক্রেতা মো. রাশেদ ও তারেক ইসলাম বলেন, পূজা উপলক্ষে খুলনার বাগেরহাট থেকে নারিকেল মজুদ করেছি। সবদ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি দামে আমাদেরকে নারিকেল কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নাই।
উপজেলা শাখা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক ধীমান চন্দ্র সাহা ও যুগ্ম আহবায়ক আনন্দ গুপ্ত বলেন, এ বছর উপজেলায় ৫৯টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। বাঁশ ও মাটির কাজ প্রায় শেষের পথে। অনেক মন্দিরে রঙের কাজও চলছে। সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়েই পূজো শেষ হবে বলে তারা আশাবাদী।
 .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
.webp) 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								.webp) 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								.webp) 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
								 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									.webp) 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									 
                    											  			
									
আপনার মতামত লিখুন: