
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের নির্যাতনে সানিম হোসেন (৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমানকে আটক করেছে। মঙ্গলবার বিকালে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী আল-মঈন ইসলামি একাডেমি নামের একটি কওমি মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। .
.
.
নিহত ছাত্র ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ও জেলার রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির ও জয়নব বেগম দম্পতির সন্তান বলে জানা গেছে। .
মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা বশির উদ্দিন জানান, দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে সামির হোসেন নামের হিফজ বিভাগের ছাত্র টয়লেটে প্রবেশ করার পর দীর্ঘ সময় পরও বের না হওয়ায় দরজা ভেঙ্গে দেখা যায় সে গলায় গামছা দিয়ে টয়লেটের ভিতর ঝুলে আছে। শিক্ষকরা তাকে নামিয়ে আনার পর দেখা যায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। .
.
লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তিনি সহ সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃত অবস্থায় শিশুকে দেখতে পান। শিক্ষকরা শিশুটি আত্মহত্যা করেছে মর্মে দাবী করলেও শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাদ্রাসা থেকে মাহমুদুর রহমান নামে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহত ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। .
.
স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন সহ অনেকেই দাবি করেছেন এ মাদ্রাসায় শিক্ষকরা ছাত্রদের সব সময় যৌন নির্যাতন ও শারীরিক নির্যাতন করে থাকে।.
.
গত সপ্তাহে মোহাম্মদ ফরহাদ(১৩) জমি নামের হিফজ বিভাগের এক ছাত্রকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগে সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা ওমায়েরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তারপরও ছাত্রদের উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। .
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, তার সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করে ঘটনা আড়াল করতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি তার শিশু সন্তান হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন। . .
ডে-নাইট-নিউজ /
কপিরাইট © 2015-2025 Dnnbd.com, ডে-নাইট গ্রুপের একটি অংঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
Design & Developed by ICT Sky Ltd.
আপনার মতামত লিখুন: