• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

হাওরের ফসল তুলতে চরম দুর্ভোগের শিকার হাজারো প্রান্তিক কৃষক


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২৩ এএম;
হাওরের ফসল তুলতে চরম দুর্ভোগের শিকার হাজারো প্রান্তিক কৃষক
হাওরের ফসল তুলতে চরম দুর্ভোগের শিকার হাজারো প্রান্তিক কৃষক

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিন পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রাপাশা মহল্লায় বেশ কয়েটি হাওরের জমিতে ফলানো ফসল বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে চরম ভুগান্তির শিকার হতে হচ্ছে কয়েক হাজার প্রান্তিক কৃষকগনকে।.

সরেজমিনে উক্ত এলাকার আনোয়ার পুর, বাইস্বার বন্দ, বারুক, মাহমুদ পুর, চাত্তল, ধলাইর পাড়,খারেঙ্গা, চিনাউরিয়া, দিগলোন, কূলিয়ার কোণা নামক মাঠ সহ বেশ কিছু মাঠ ঘুরে দেখা যায় জমিতে রূপা আমন ও বুনা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।.

এ সকল মাঠ গুলোর সাথে কয়েক হাজার  কৃষকদের যাতায়ত করার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে দুটি পাকা রাস্তা রয়েছে, কুন্ডুর পাড় পয়েন্ট থেকে পশ্চিম ভাগ পর্যন্ত এবং তারাসই গ্রাম পর্যন্ত পাকারাস্তা সংলগ্ন দুই দিকেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ফসলী জমির মাঠ, সকল মাঠের জমি গুলোতে ফলানো রয়েছে কৃষকের পাকা ধান।.

প্রযুক্তির যুগে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসলেও উক্ত এলাকার পশ্চিমের হাওর গুলো থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার হয়নি কোন রকম উন্নয়ন, পুরো রাস্তা সংলগ্ন খাল গুলোতে কোন রকম বাঁধ না থাকায় এবং হাওরের ভিতর থেকে  কোন  রাস্তা না  থাকায় মাঝ হাওর সহ ভিতরের জমি গুলো থেকে মাথায় এবং কাঁধে করে ফসল এনে পৌঁছে দিতে প্রধান রাস্তা পর্যন্ত। .

এসকল এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান -সম্প্রতি বয়ে যাওয়া বন্যার কারণে এলাকাটির লোকজন যে পরিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে  তেমনি এবছরে জমিতে ফসলের বাম্পার ফলনে বন্যার ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব  হবে।.

বানের জলে উজান থেকে পলি মাটি বয়ে এনে জমির উর্বরতা বৃদ্ধির কারণে এ বছরে সকল এলাকার জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওর গুলো ফসলে পরিপূর্ণ থাকলেও হাওরে ভিতর থেকে রাস্থা না থাকায় প্রধান রাস্তা পর্যন্ত ফসল আনতে গিয়ে শ্রমিকদেরকে দ্বিগুণ টাকা দিতে হচ্ছে।.

এ ছাড়াও উক্ত এলাকার হাওর বাসীর জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে হাওর গুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় দীর্ঘ বছরেও কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নি। হাওরের ভিতরে রাস্তা না থাকায় মাঝ হাওর থেকে ফসল কেটে প্রধান রাস্তা পর্যন্ত আনতে গিয়ে চরম ভুগান্তিতে পড়তে হয় সকলকে। এছাড়াও পরবর্তীতে ট্রলি অথবা ট্রাক্টরের মাধ্যমে ফসল বাড়িতে নিয়ে আসতেও ভোগান্তির যেন শেষ নেই।.

 গ্রামের ভিতরের  যোগাযোগ ব্যবস্থায় আংশিক উন্নয়ন হলেও অপরিকল্পিত ভাবে কাঁচা রাস্তাগুলো নির্মাণ করায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার  ১-২ বছরের মধ্যেই রাস্তার মাটি খালে চলে গিয়ে অধিকাংশ রাস্তায় তৈরি হয়েছে মরন ফাঁদ। এতে করে বেশ কয়েকটি এলাকার সাধারণ জনগণের জন্য  সুবিধার চেয়ে চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উক্ত রাস্তা গুলো।  রাস্তা সংলগ্ন সরু খাল গুলোতে  বাঁধ নির্মাণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার অসংখ্য ভুক্ত ভোগী কৃষক। . .

ডে-নাইট-নিউজ / রিতেষ কুমার বৈষ্ণব-

কৃষি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ