
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ড ইনচার্জ কুসুম রানী পাইকের বিরুদ্ধে পেয়িং বেডের ভাড়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের প্রতিবাদে হাসপাতালের ভেতরে একসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে কুসুম রানী অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেন।.
.
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালের অভ্যন্তরে।.
.
অভিযোগ রয়েছে, কুসুম রানীর বিরুদ্ধে এর আগেও রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, সরকারি বরাদ্দকৃত ওষুধ না দেওয়া, গোপনে ওষুধ বিক্রি করা এবং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নরমাল ডেলিভারি করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।.
জানা যায়, উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়নের মমতাজ বেগম তার এক মাস বয়সী শিশুকে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি করান। ভর্তি করার সময় নার্স কুসুম রানী পেয়িং বেডের অগ্রিম ভাড়া হিসেবে ৫০০ টাকা নেন। তিন দিন পর শিশুর অবস্থার উন্নতি হলে ছাড়পত্রের সময় আরও ৪০০ টাকা আদায় করেন তিনি।.
নিয়মানুযায়ী, তিন দিনের পেয়িং বেডের ভাড়া ১৭৫ টাকা করে মোট ৫২৫ টাকা হলেও কুসুম রানী ৯০০ টাকা আদায় করেন। এতে শিশুর মা ও স্বজনরা প্রতিবাদ জানালে হাসপাতালের ভেতরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেন কুসুম রানী।.
.
শিশুটির খালু মো. নোমান বলেন, “এ ধরনের ঘটনা তার (কুসুম রানী) কাছে নতুন নয়। তিনি রোগী ও স্বজনদের জিম্মি করে নিয়মিত অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।”.
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নার্স কুসুম রানী পাইক বলেন, “এটা মনের ভুলে হয়েছে, টাকা ফেরত দিয়েছি।” তবে অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।.
.
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মীর আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, “ঘটনাটি আমরা জেনেছি। তার (কুসুম রানী) বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: