• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ফুলবাড়ীতে প্্ূঁজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৩৬ পিএম;
ফুলবাড়ীতে প্্ূঁজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন
ফুলবাড়ীতে প্্ূঁজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন

ফুলবাড়ীতে প্্ূঁজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন
আহ্বায়ক আনন্দ কুমার গুপ্ত, সদস্য সচিব রতন চক্রবর্তী
.



মো. হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে “বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আনন্দ কুমার গুপ্ত এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রতন চক্রবর্তী।.


গতকাল বুধবার “বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি স্বরুপ কুমার বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক সনজিত কুমার রায় সাক্ষরিত এক চিঠিতে ২১ সদস্য বিশিষ্ট তিন মাস মেয়াদী এই কমিটির অনুমোদন ঘোষণা করা হয়।.


কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শম্ভু প্রসাদ গুপ্ত, ধীরেন্দ্র নাথ সরকার, অমিত কুমার গুপ্ত, শচীন্দ্র নাথ রায়, অন্তর কুমার মহন্ত, সুমন চন্দ্র সরকার, শংকর চন্দ্র মন্ডল, পাপন সরকার, উদয় দত্ত, মুকুল চন্দ্র পাল, কুমোদ চন্দ্র রায়, নিমাই রায়, রাজকুমার রায়, সুশান্ত সরকার, ধর্মচন্দ্র বর্মন, সুধীর চন্দ্র রায়, সুজন চন্দ্র রায়, ঈশ^র চন্দ্র রায়, ব্রজেন্দ্র নাথ রায়।.


নবনির্বাচিত আহ্বায়ক আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, “পূজা উদযাপন শুধু ধর্মীয় আচার নয়; এটি আমাদের সামাজিক ঐক্য, সংস্কৃতি ও প্রজন্মের ঐতিহ্য বহন করে। আমরা সেই ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে সকলে মিলে কাজ করব।.


সদস্য সচিব রতন চক্রবর্তী বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে এবং সবার সহযোগিতায় আগামী দুর্গা পূঁজাসহ সকল উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে।.


স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন কমিটি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সমাজসেবামূলক কর্মকা-ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনেকেই মনে করেন, প্রতি বছর পূঁজা উদযাপনের সময় যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়-যেমন নিরাপত্তা, পরিবেশ রক্ষা, আর্থিক সংকট-তা সমাধানে এই কমিটি সক্রিয় ভূমিকা নেবে।.


ফুলবাড়ী বহুদিন ধরেই ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় একসাথে বিভিন্ন উৎসব পালন করে আসছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে শারদীয় দুর্গোৎসবসহ সকল ধরনের পূঁজা-অর্চনা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের আশ^াস দিয়েছেন।.


নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: প্রতিটি ম-পে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, যুবসমাজকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সম্পৃক্ত করা, ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো, পূঁজাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রদান।.

.

ডে-নাইট-নিউজ /

ধর্ম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ