• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ফুলবাড়ীতে লিচুর সোনালী মুকুলে ভরেছে গাছগুলো: মৌমাছি ব্যস্ত


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:২৭ পিএম;
ফুলবাড়ীতে লিচুর সোনালী মুকুলে ভরেছে গাছগুলো: মৌমাছি ব্যস্ত
ফুলবাড়ীতে লিচুর সোনালী মুকুলে ভরেছে গাছগুলো: মৌমাছি ব্যস্ত

প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি::দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গাছে গাছে কচি পাতার মুখে থোকায় থোকায় এসেছে লিচুর সোনালি মুকুল। সোনারঙা নাক ফুলের মতো মুকুলগুলো সুবাতাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে। আর মৌমাছি ব্যস্ত মধু সংগ্রহে।ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তা-ঘাটে পা রাখলেই চোখে পড়ে বাগান, বসতবাড়ি ও রাস্তার লিচু গাছগুলোতে মুকুলের সমাহার। যেন অগুণতি সোনারাঙা নাকফুলের ছড়াছড়ি। সেই মুকুল আবার সুবাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে। প্রতিটি লিছু গাছ ভরে গেছে ফুলে ফুলে। .


    সরেজমিনে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে এসেছে মুকুল। তাই বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষিরা। লিচু বাগানে মৌমাছি আর পাখিদের আনা-গোনা, নয়নাভিরাম দৃশ্যে মুগ্ধ এই অঞ্চলের পথচারী ও এলাকাবাসী।
লিচু চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে অধিকাংশ গাছেই মুকুল এসেছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে। এখন ফুলে ফুলে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। মুকুল যেন ঝরে না পড়ে, তাই জন্য বাগানের দিকে নজর রাখছেন বাগান চাষিরা।  .


    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নর বিভিন্ন গ্রামে ৫৮ হেক্টর জমিতে লিচু গাছ রয়েছে। এই জমিতে লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৭ দশমিক ২ মেট্রিকটন। যা বিঘা প্রতি ২ দশমিক ১ মেট্রিকটন। 
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের কৃষক আরমান আলী বলেন, ২৫ বিঘা জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। গাছগুলোতে এখন মুকুল এসেছে তাই নিবিড় পরিচর্যা করা হচ্ছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে আর প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হয়, তবে ১২ থেকে ১৫ লাখ লিচু উৎপাদন হবে।  .


    আলাদীপুর ইউনিয়নের বারাইপাড়া গ্রামের কৃষক জগদিশ রায় বলেন, বাগান কয়েক ধাপে বিক্রি হয়। গাছে মুকুল আসার আগেই এবং লিচু গুটি হওয়ার পরে বাগান বিক্রি হয়। লিচু পাকার আগেই বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয় বাগানের মালিকানা। তবে অনেক বাগান মালিকরা লাভের আশায় নিজেই শ্রম দেন। অনেক সময় খরার কারণে লিচুর আকার ছোট হয়ে যায়। আবার অনেক সময় বৈশাখী কালবৈশাখী ঝড়ে সব ল-ভ- হয় লিচু বাগান। তখন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।  জগদিশ রায় আরও বলেন, গাছে মুকুল এসেছে। বাগানে কীটপতঙ্গ, মাকড়সা দূর করার জন্য বালাইনাশক স্প্রে করা হয়েছে।.


    খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের লিচু চাষি পলাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রায় ১১ বিঘা জমিতে আমার লিচু বাগান রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর খরার কারণে মুকুল এসে ঝরে পড়ে। আবার ধূলিঝড় আর বৃষ্টির কারণে কিছু মুকুল ঝরে যায়। এবার ঠিক সময়ে লিচুর মুকুল এসেছে। মুকুল আসার পর পরই সামান্য বৃষ্টি হওয়াতে কুঁড়ি সতেজ হয়েছে। গাছে ভিটামিনও কম স্প্রে করতে হচ্ছে। ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, চলতি বছরে উপজেলায় ৫৮ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হচ্ছে। গাছগুলোতে মুকুল এসেছে। চাষিরা গাছগুলোতে স্প্রে করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে বলে মনে করছি।  
 .

.

ডে-নাইট-নিউজ /

কৃষি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ