• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

একটিও বই পেলো না অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০২ জানুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:১০ পিএম;
একটিও বই পেলো না অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা
একটিও বই পেলো না অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা

একটিও বই পেলো না অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা
নবম শ্রেণির পেয়েছে এক চতুর্থাংশ 
.


প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বই উৎসবে সকলে বই পেলেও একটিও বই পায়নি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকের সকল শ্রেণির শতভাগ, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শতভাগ, নবম শ্রেণির এক চতুর্থাংশ বই পৌঁছাছে।  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুতই সব বই পৌঁছে যাবে তাদের কাছে।.


    এদিকে সোমবার (১ জানুয়ারি) বই উৎসবে ফুলবাড়ী উপজেলার ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০টি কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীরা সরকারি বই পেয়েছে। অপরদিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই পেলেও মোট শিক্ষার্থীর চারভাগের একভাগ শিক্ষার্থী বই পেয়েছে নবম শ্রেণির। কিন্তু একটি বইও পায়নি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। .


    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১০৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫০ টি কিন্ডারগার্টেন সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সব কয়টি বই বিতরণ করা হয়েছে। 
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪টি মাদ্রাসা এবং ৮টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ বইয়ের চাহিদা ছিল। চাহিদার বিপরীতে বই সরবরাহ পাওয়া গেছে ২লাখ ২৭ হাজার ১০০ টি। এখনও ১লাখ ১০ হাজার ৩০০ বাইয়ের চাহিদা রয়েছেন। .


    এদিকে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শতভাগ বই পাওয়া গেছেও নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ের মধ্যে পাওয়া গেছে ৭টি বাই। এই ৭টি বইও পাওয়া গেছে মাত্র ১ হাজার। অথচ এই বইয়ের চাহিদা রয়েছেন ৪ হাজার। ফলে চারভাগের একভাগ বই পাওয়া গেছে। তবে অষ্টম শ্রেণির একটি বইও সরবরাহ না আসায় বই হাতে না নিয়েই শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজিত বই উৎসব থেকে।.


    খয়েরবাড়ী মনমোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধীমান চন্দ্র সাহা বলেন, আশা করা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অষ্টম শ্রেণির এবং নবম শ্রেণির অবশিষ্ট বই পাওয়া যাবে। বই পাওয়া মাত্রই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
সিদ্দিশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সবাই বই পেলেও শূন্য হাতে ফিরেছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি খারাপই লেগেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রাথমিকের সকল শ্রেণির শতভাগ বই শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে।.


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম বলেন, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে বই সরবরাহ করা গেলেও নবম শ্রেণির মাত্র এক চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীর মাঝে বই সবরাহ করা গেছে। তবে অষ্টম শ্রেণির কোনো বই না আসায় একজন শিক্ষার্থীকেও বই সরবরাহ করা যায়নি। তবে দু-চার দিনের মধ্যেই বই পৌঁছে যাবে আশা করা যাচ্ছে। বই পাওয়া মাত্রই শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করা হবে।
 . .

ডে-নাইট-নিউজ /

শিক্ষা বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ