• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাঠে নয়-ছয়ের অভিযোগ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:০৩ এএম;
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাঠে নয়-ছয়ের অভিযোগ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাঠে নয়-ছয়ের অভিযোগ

হবিগঞ্জ জেলার, আজমিরীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১৩০টি ঘর নির্মাণের কাজ চলমান। প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য প্রতি ঘরে সাড়ে ২১ ফুট কাঠ ৪৯০ টাকা দরে আজমিরীগঞ্জ বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী বাহাদুর মিয়ার কাছ থেকে ক্রয় করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।.

এরই ধারাবাহিকতায় কাঠ ব্যবসায়ী বাহাদুর মিয়া প্রথম ধাপে ৬৮টি ঘরের জন্য কাঠ প্রদান করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে।.

বাহাদুর মিয়া যে কাঠ ঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে প্রেরণ করে এবং যে সকল কাঠ দ্বারা নির্মাণ কাজ চলমান সেই কাঠ মাপজোক করে বিরাট আকারের অনিয়ম উঠে এসেছে। স্থানীয় ও ঘর নির্মাণের দায়িত্বে থাকা লোকজন কাঠ মাপজোক করে কাঠে গরমিলের অভিযোগ তুলেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘর নির্মাণের জন্য যে কয়েক প্রকার কাঠ ব্যবহার হচ্ছে তার প্রত্যেকটি কাঠেই নির্ধারিত মাপের চেয়ে আধা ইঞ্চি থেকে সোয়া ইঞ্চি কাঠ মাপে কম দেয়া হয়েছে।.

সঠিক মাপ থেকে এই পরিমাণ কাঠ কম দেয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, প্রতি পিস কাঠে আধা ইঞ্চি কাঠ কম দিলে নির্ধারিত সাড়ে ২১ ফুট কাঠ প্রতিটি ঘরে দেয়া লাগবে না, সেক্ষেত্রে কাঠ বিক্রয়কারী প্রতি ঘরে ৫-৬ ফুট কাঠ কম দিবে এবং টাকার অংকে প্রশাসন নির্ধারিত মূল্যে বাহাদুর মিয়ার ২৫০০-৩০০০ টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করবে।.

তারা একটি ঘরের হিসাব দেয়ার পর প্রতি ঘরে ২৫০০ টাকা সর্বনিম্ন দরে ১৩০টি ঘর নির্মাণের কাঠ বাবদ ৩-৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার ব্যাপারটি পরিলক্ষিত হয়।.

উল্লেখ্য যে উক্ত প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য কাঠ বাবদ সরকারীভাবে সাড়ে ২১ ফুট দরে মোট ২৭৯৫ ফুট কাঠের জন্য উপজেলা প্রশাসন মোট ১৩ লাখ উনসত্তর হাজার টাকা কাঠ ব্যবসায়ী বাহাদুর মিয়াকে পরিশোধ করবে।.

আজমিরীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি দুই উপজেলায় একসাথে দায়িত্ব পালন করি। বিষয়টি আমি অবগত হইলাম, আজমিরীগঞ্জ এসে সব দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।.

তদারকির দায়িত্বে থাকা আজমিরীগঞ্জ ইউএনও কার্যালয়ের উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা তজমুল হককে জানালে তিনি বলেন, আমি কাঠ দেখে বাহাদুর মিয়াকে কল দিছিলাম, সে বলেছে যেগুলি গেছে সেগুলি কাজে লাগাই দেন পরবর্তীতে সঠিক মাপে কাঠ দিব।.

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কাঠের মাপ সঠিক না হলে সব কাঠ ফেরত দেয়া হবে।.

.

ডে-নাইট-নিউজ /

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ