• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আর নেই


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৫৭ পিএম;
আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আর নেই
আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আর নেই

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা বিশিষ্ট গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।.

একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।.

১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। তার বাবার নাম হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। ১৯৫০ সালে গাফ্‌ফার চৌধুরী ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে পরিপূর্ণভাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫১ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে গাফ্‌ফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।.

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কলকাতা চলে যান। এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক জনপদ বের করেন।.

১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান সেখানে সুস্থ না হওয়ায় ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে লন্ডনে যান। এরপর তার প্রবাসজীবন শুরু হয়।.

সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রক্তাক্ত আগস্ট’।.

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান। এছাড়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আর অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।. .

ডে-নাইট-নিউজ / রাফিজ হাছান

জাতীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ