• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

আজ ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৪৪ পিএম;
আজ ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস
আজ ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস

প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আজ ৪ ডিসেম্বর দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বীর মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী প্রাণপণ লড়াই করে পাকিস্তানী হানাদার খানসেনাদের বিতাড়িত করে ফুলবাড়ীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ফুলবাড়ীকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়।.

 .


স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরীহ বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে পরদিন ২৬ মার্চ সকালে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে ফুলবাড়ী সদরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রেলস্টেশন থেকে কাঁটাবাড়ী বিহারীপট্টি হয়ে বাজারের ফেরার পথে মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করলে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এরপর শুরু হয় বিহারীদের (অবাঙালি) সঙ্গে মুক্তিকামী বাঙালিদের সংঘর্ষ। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা ওই এলাকার অবাঙালি চিকিৎসক শওকত আলীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করলে স্বপরিবারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তিনি। এ সময় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে গোটা এলাকা জুড়ে। এরমধ্যে ২ এপ্রিল পাকিস্তানী খানসেনারা আক্রমণ চালিয়ে ফুলবাড়ীকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাঙালিদের ওপর নির্মম অত্যাচার, হত্যা, লুটতরাজসহ ঘরবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ শুরু করে খানসেনা ও তাদের দোসর বিহারীরা। .


দীর্ঘ ৯ মাস খানসেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে ফুলবাড়ী উপজেলার আমড়া, জলপাইতলী, পানিকাটা, রুদ্রানী ও রানীনগর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঢুকে চতুর্মূখী আক্রমণ চালায় খানসেনাদের ওপর। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে মিত্র বাহিনীর ফুলবাড়ী শহরে প্রবেশ ঠেকাতে খানসেনারা ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ছোট যমুনা নদীর ওপর লোহার ব্রিজের পূর্বাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে মিত্র বাহিনীর ফুলবাড়ী শহরে প্রবেশে বিলম্ব হওয়ার সুযোগে খানসেনাদের একটি অংশ মেঠোপথে এবং অপর অংশ বিশেষ ট্রেনে সৈয়দপুর চলে যায়। এ সময় ট্রেনটি ধ্বংসের জন্য মুক্তি বাহিনী কয়েকটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করলেও সেটি ব্যর্থ হয়। পরে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর উপস্থিতিতে বীর মুক্তি বাহিনী স্থানীয় সড়ক ও জনপথ ডাকবাংলো চত্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ফুলবাড়ীকে পাক হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন।.


খানসেনাদের উড়িয়ে দেওয়া লোহার ব্রিজটি দেশ স্বাধীনের পর পুনরায় ইট সিমেন্ট দ্বারা নির্মাণ করা হয়, যা আজো মুক্তি যুদ্ধের রণাঙ্গনের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অবশ্য পার্শ্বে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
 .

.

ডে-নাইট-নিউজ /

অন্যান্য বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ