
বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার রতনপুর কাশেম বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ভুয়া চিকিৎসককে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সামা। পাশাপাশি তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ড পাওয়া ওয়াজ উদ্দিন (৬০) উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা।.
.
.
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়াজ উদ্দিন পশুচিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ৩০ বছর ধরে যাদবপুর ইউনিয়নে গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগির চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। গত সোমবার রতনপুর গ্রামের খামারি আলাল উদ্দিনের একটি গাভির বাছুর হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বাছুরের সমস্যা দেখা দিলে ওয়াজ উদ্দিনের চেম্বারে নিয়ে যান আলাল। ওয়াজ উদ্দিন বাছুরটির পেট কেটে অস্ত্রোপচার করে নাড়িভুঁড়ি বের করে আবার লাঠি দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে সেলাই করে দেন। এর মধ্যে বাছুরের পেটে পচন ধরে। আজ দুপুরে বাছুরের মালিক আলাল উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ওয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে দণ্ড দেওয়া হয়।.
.
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন পশুচিকিৎসায় ওয়াজ উদ্দিনের কোনো সনদ নেই। অস্ত্রোপচারের সময় তিনি নাড়িভুঁড়ি ভেতরে ঢোকাতে লাঠি ব্যবহার করেছেন। এতে সেখানে পচন ধরে। অপচিকিৎসার কারণে বাছুরটি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সামা বলেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯–এর ৩৭ ধারায় ভুয়া চিকিৎসককে ৪ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / স্টাফ রিপোর্টার
আপনার মতামত লিখুন: