
.
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির কোন শুনানী করা হয়নি। ফলে জমির মালিকরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে তাদের মতামত তুলে ধরতে পারেনি। এতে ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েন কয়েক হাজার জমির মালিক। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মটর শ্রমিক মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা এ অভিযোগ করেন।.
.
সংবাদ সম্মেলনে কালীগঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাজী মো. শহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল ইসলাম পাটোয়ারী, ফরিদ উদ্দিন মিয়া, জালাল উদ্দীন, আবু জাফর প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, যে জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রতি শতক ৫ লাখ টাকা, সেই জমির মূল্য দেওয়া হচ্ছে ১৮’শ টাকা। অনেক মৌজার জমি বাণিজ্যিক শ্রেণির হলেও তা ডোবা ও ডাঙ্গা শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।.
.
জমি অধিগ্রহণে ৮ ধারা নোটিশ জারির আগে ৭ ধারা নোটিশ জারি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু ৭ ধারা নোটিশের পরে স্থানীয় জমির মালিকদের সঙ্গে সরকারের সমন্বয়ের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। জমির মালিকদের সঙ্গে শুনানি না করেই জেলা প্রশাসন ৮ ধারা জারি করেছে।.
.
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত ১৯ টি মৌজার প্রায় সাড়ে চার হাজার জমির মালিক প্রকৃত জমির মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা অধিগ্রহণকৃত জমির ৮ ধারা প্রত্যাহার, পুনরায় সার্ভে করে স্থাপনা ও জমির বর্তমান ন্যায্যমূল্য নির্ধারনের দাবি জানিয়ে বলেন তা নাহলে হরতাল, অবরোধ ও প্রয়োজনে আত্মহুতি দেওয়া হবে। এদিকে দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের মামুনুর রহমান রানা অভিযোগ করেন, তার জমির মৌজা রেট ৭৭ হাজার ২১৮ টাকা কিন্তু ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন থেকে প্রদান করা হয়েছে মাত্র চার হাজার ২২৭ টাকা। বাবুল আক্তার জানান, তার কালীগঞ্জ মৌজায় তিন দাগে বানিজ্যিক জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। কিন্তু ডাঙ্গা হিসেবে মুল্য প্রদান করা হচ্ছে। বুজরুক মুন্দিয়া গ্রামের মসিউর রহমান জানান, খতিয়াতে তার জমির শ্রেওনী ডাঙ্গা কিন্তু দাম দিচ্ছে ডোবা হিসেবে।.
.
সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকরা অভিযোগ করেন ঝিনাইদহের সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম ও ভারতে নিহত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের কারসাজিতে কালীগঞ্জের জমির মালিকরা আজ পথে বসেছেন। তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রমান তুলে ধরেন পাশাপাশি জমি একজন জন পাচ্ছেন ৯ কোটি কিন্তু প্রভাব না থাকায় একই শ্রেনীর জমির মালিক পাচ্ছেন মাত্র ৬০ লাখ টাকা। সাবেক এমপি আনারের জমির টাকা পাচ্ছে চার গুন বেশি, কিন্তু পাশে থাকা একই শ্রেনীর জমির মালিক পাচ্ছেন কম টাকা।.
.
. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: