• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

খ্রিষ্টধর্মের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৮ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪৩ এএম;
খ্রিষ্টধর্মের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন
খ্রিষ্টধর্মের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ সারিধরম গাঁওতা এর উদ্যোগে সাঁওতালসহ সকল জনগোষ্ঠীর ধর্ম জাতিগত বৈচিত্র্যতা এবং দেশের অখÐতা রক্ষা করতে খ্রিষ্টধর্মের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নরেশ হেমব্রম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সারিধরম গাঁওতা এর সভাপতি চুন্নু টুডু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুবাস মুর্মু, কোষাধ্যক্ষ সুনিল হাঁসদা, সদস্য নির্মল মার্ডী, রবিন মুর্মু, মনিরাজ হেমব্রম, রাজেন মার্ডী প্রমুখ বক্তব্যে নরেশ হেমব্রম বলেন, ২০১৯ সালে প্রকাশিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির গেজেটে সাঁওতালসহ ৫০টি জাতিসক্তজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গেজেটে অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি জাতিসত্তা নিজস্ব ভাষা, ধর্ম .

 .

সংস্কৃতি তথ্য জাতিগত বৈচিত্র্যতা বিদ্যমান। আমরা সাঁওতাল। আমাদের ধর্মের নাম সারিধরম। আমাদের সরলতাকে পুঁজি করে খ্রিস্টধর্ম ব্যবসায়ী প্রতারক, Ð, ধর্ম প্রচারক, মানবসেবা, উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ভাল চাকরি, বিদেশে ভ্রমণ, নগদ অর্থ, বাড়ী-ঘর পাঁকা করাসহ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে আমাদের সাথে সু-সম্পক তৈরি করে। পরে আমাদের জমিতে কৌশলে বিভিন্ন খ্রিষ্টধর্মের উপসানালয় তথ্য গীর্জাঘর বানায় এবং সেখানে খ্রিষ্টধর্ম পালনে বাধ্য করে। তারা আমাদেরকে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটানোর প্রলোভন দেখায়। এভাবে অনেককে নিজেদের ফাঁদে ফেলেন তারা।.

 .

 .

 আমাদের নিকট তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেও আজো আমরা কিছু পাইনি। আমরা ৫৪ বছরে যা হারালাম তা আর কি ফিরে পাব? নিজের কাছে নিজের অনেক প্রশ্ন। আমরা জাতিগতভাবে পিছিয়ে, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, সাঁওতাল পরিচয় থেকে বঞ্চিত। আমাদের জমি-জমা, ঘর-বাড়ী, চাকরি, ব্যবসা, বাণিজ্য সবকিছু থেকে অবহেলিত বঞ্চিত। আমরা আজ আহŸান জানাই দেশের সকল সাঁওতাল যারা প্রলোভনে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তারা নিজ সারিধরমে ফিরে আসতে। মহান ৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। ইতোপূর্বে ধর্মব্যবসায়ী প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সরকারকে জানানো হলেও আজো কোনোপ্রকার ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। .

 .

 .

তিনি বলেন, গত ২৪ মে পত্রপত্রিকায় লক্ষ্য করা যায় যে, ১৪ দলের বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান দেশ করার চক্রান্ত চলছে। কিছু সাদা চামড়ার মানুষ আমাদের দেশকে খ্রিষ্টান দেশ বানাতে চায়।তারা কৌশলে বাংলাদেশের একটি অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশকে খন্ডিত করতে চায়। আমরা সাঁওতাল সমাজ খ্রিস্টধর্মের হীন টকৌশলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খ্রিস্টান ধর্মব্যবসায়ীদের কারণে সাঁওতাল সমাজের বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কারণে আমাদের নিজস্ব বর্ণমালায় প্রাথমিক শিক্ষা স্থগিত রয়েছে। .

 .

 .

সাঁওতালদের নিজ বর্ণমালা থাকার সত্তে¡ খ্রিস্টান ধর্ম ব্যবসায়ীরা আমাদের উপরে রোমান বর্ণমালা চাপিয়ে দিতে চায়। এভাবে আমাদের দেশের প্রান্তিক জনগোষ্টিকে লক্ষ্য করে তারা দেশের মোট জনসংখ্যার একটি অংশকে খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারি করেছে। এখন তারা আমাদের দেশকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাতে চায় যা- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখে বললেন। কাজেই খ্রিস্টধর্ম প্রচারকদের আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। আমাদের নিজ ধর্ম, বর্ণ, ভাষা সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে। .

 .

 .

তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে যারা খ্রীষ্টধর্ম বিশ্বাস করে গ্রহণ করেছে, তারা জাতিতে খ্রিস্টান, তারা পুনরায় সাঁওতাল হিসাবে দাবি করলে, তা জাতির সঙ্গে বেইমানি অন্যায় হবে এবং এরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে সমাজের শান্তি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 

জাতীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ