
আর মাত্র কয়েক দিন পর অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে যশোরের শার্শার বাণিজ্যিক খামারি ও পারিবারিক প্রান্তিক পশু লালন-পালনকারিরা কোরবানির বাজার ধরতে এখন শেষ মূহুর্তে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলায় চলতি বছর স্থানীয় চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় কোরবানি জন্য ৯ হাজার ৮৭৩ টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। হিসাব চলমান থাকায় সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানা যায়। তবে প্রাপ্ত তথ্য মতে কোরবানির পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভি মিলে ৩ হাজার ৩৯৬ টি, মহিষ ৩ টা, ছাগল ৬ হাজার ৩৫০ টি এবং ভেড়া রয়েছে ১২৪ টি। এর মধ্যে ১২ জন বাণিজ্যিক খামারির খামারে প্রস্তুত করেছেন ১হাজার ৩শত গরু। .
বাকি বিভিন্ন ধরনের পশু গুলি পারিবারিক ভাবে ২-১০ টি পর্যন্ত প্রান্তিক লালন-পালনকারিরা প্রস্তুত করেছেন।চলতি বছর উপজেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৯ হাজার ১২০ টি। চাহিদার থেকে প্রস্তুতকৃত তুলনায় ৭৫৩ টি কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত হিসাবে থাকছে।.
বাণিজ্যিক খামার ব্যবসায়ি উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নের সিয়াম ডেইরি ফার্ম এর মালিক নাসির উদ্দীন বলেন, এ বছর আমার ফার্মে শতাধিক টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে কোরবানির জন্য ছোট-বড় ৭৯ টি গরু প্রস্তুত করেছি। সবচেয়ে বড় যে ষাঁড় গরুটি ওজন আনুমানিক ২০ মণের উপরে রয়েছে। আর সর্বনিম্ন যে গরুটি রয়েছে তার ওজন হবে প্রায় ৪ মণ।.
শার্শা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এ বছর উপজেলায় বাণিজ্যিক খামারি ও প্রান্তিক পশু লালন-পালনকারিরা ৯ হাজার ৮৭৩ টি গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলে চাহিদার তুলনায় বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। পশু প্রস্তুতকারিদের নিয়োমিত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। বাগআঁচড়া সাতমাইল ও নাভারণ পশু হাটে কোরবানির পশু বেচা কেনার সময়ে মেডিকেল টিম কাজ করছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / বেনাপোল প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: