
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে অটোরিক্সাসহ চালক নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজ মুরাদ হোসেন (১৫) সদর উপজেলার তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আধাঁরমানিক গ্রামের আজাদ এর ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ ও সজিবকে দায়ী করছেন পরিবার। সন্তানের সন্ধান ছেয়ে বুধবার (৮ নভেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন মুরাদের মা। ঘটনার পর থেকেই গা’ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত আজাদ।.
পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় বাবাকে বিশ্রামে দিয়ে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর অটোরিক্সা নিয়ে বের হন মুরাদ। পরিবারের দাবী রাত আনুমানিক রাত ৯টার দিকে স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ ফোন দিয়ে মুরাদকে দক্ষিণ আধাঁরমানিক স্কুল এলাকায় ডেকে নেন। এসময় সজিবও তার সাথে ছিলো। কিন্ত রাত এগারটার পরও সে ফিরে না আসায় খোঁজা-খুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এসময় মুরাদের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। কোথাও খুঁজে না পেয়ে বুধবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুরাদের মা মরিয়ম বেগম। অভিযুক্তরা একই গ্রামের মৃত নুরুর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৫০) ও নুরুল হকের ছেলে সজিব (২০)।.
এবিষয়ে জানতে চাইলে, “সজিব বলেন ঐদিন আমি ও মুরাদ এক সাথে ছিলাম। আনুমানিক রাত নয়টার দিকে ০১৮১৭-৩৮৯১৯৪ নম্বর থেকে আবু মিয়া ফোন দিয়ে দক্ষিণ আধাঁরমানিক যেতে বলে। স্কুলের সামনে আসলে মুরাদ ভাড়া আছে বলে আমাকে নামিয়ে দেয়। তখন আমি বাড়ি চলে আসি। এর পর কি হয়েছে আমি জানি না। পরে শুনি মুরাদ রাতে বাড়ি আসেনি।”.
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল কারাম আজাদ মুঠোফোনে জানান, ঐদিন রাত দশটার দিকে আমি ও মুরাদের রিক্সাদিয়ে তোরাবগঞ্জ যাই। বাজারে কাদেরের দোকানের পশ্চিমে এসে নামলে সে আমার কছে সিগারেট চায়। এসময় একটি ছেলে এসে কোথাও যেতে চায়। সে রাজি হলে ঐছেলে ও দুইজন মেয়ে তার রিক্সায় উঠে পূর্ব দিকে চলে যায়। তারা কোথায় গিয়েছে আমি জানি না। এখন শুনি মুরাদ নিখোঁজ। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এসময় তিনি ঢাকায় আছেন বলেও জানান। পুলিশ সুপার কার্যালয় অভিযোগের বিষটি নিশ্চিত করলেও এবিষয়ে পরবর্তী প্রদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: