• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ০৫ আগষ্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

রামুতে পাষবিক নির্যাতনের ৪ দিনে ও পুলিশ মামলা নিল না নির্যাতিতা ছমিরা বেগমের


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৪৭ পিএম;
রামুতে পাষবিক নির্যাতনের ৪ দিনে ও পুলিশ মামলা নিল না নির্যাতিতা ছমিরা বেগমের
রামুতে পাষবিক নির্যাতনের ৪ দিনে ও পুলিশ মামলা নিল না নির্যাতিতা ছমিরা বেগমের

নারীর উপর জ্যামিতিক হারে নির্যাতন বাড়ছে।গত ১৯ মে,২০২২ ইংরেজি ভোরে স্বামী,ননদ,ননশস,শ্বশুর, শ্বাশুড়ির  নির্মম নির্যাতনের শিকার হন রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি (৪ নং ওয়ার্ড) এলাকার ঈমাম হোসেনের কন্যা ছমিরা বেগম।.

বিয়ের প্রায় ২ বছরের মধ্যে প্রথম সন্তান ও পাষাণ স্বামী যৌতুক না পেয়ে  নির্যাতনে নষ্ট হয় এবার ও লাখ টাকা যৌতুকের জন্যে স্বামী,শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ননদ ও ননশস মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালায়।চুলের মুড়ি ধরে যৌতুক লোভী স্বামী ছমিরা বেগম কে ঘর থেকে বাড়ীর আঙ্গিনায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান।নববধু ছমিরার আত্ন চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ও কেউ সাহস করে উদ্ধার করতে পারেন নাই।.

বেধম মারধরের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ছমিরা বেগম। খবর পেয়ে ছমিরার পিত্রালয় থেকে মা,বোনরা এগিয়ে এসে উল্টো ছমিরার মা কয়েকদফা মারধরের শিকার হন ছমিরা বেগমের গর্ভধারিনী মা।অতঃপর সরকারি সেবা ৯৯৯ নং ফোন করে সাহায্য প্রার্থনা করলে ৯৯৯ এর সহযোগিতায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি, পুলিশ ইন্সপেক্টর জনাব ফরহাদ আলির নেতৃত্বে একদল পুলিশ অচেতন অবস্থায় ছমিরা কে শ্বাশুর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।.

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নোবেল বড়ুয়ার সার্বিক সহযোগিতায় ছমিরার চিকিৎসায় ডাক্তার -নার্সদের নিবিড পর্যবেক্ষনে অভাগী  ছমিরা বেগমের জ্ঞান ফিরে এলে ও পেটের বাচ্চা অক্ষত থাকবে কিনা সন্দেহ পোষণ করছেন চিকিৎসকরা।.

এ প্রতিবেদক সরেজমিনে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়,মহিলা ওয়ার্ডের ১৫ নং সিটে মূমূর্ষ অবস্থায় ছমিরা কাতরাচ্ছে। নির্যাতনের বিভৎস বিবরণ দিতে গিয়ে হতভাগী ছমিরা বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।ভয়ার্ত কন্ঠে বারবার সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করছেন,এই নির্যাতনে নির্যাতকদের উপযুক্ত শাস্তি হবে তো !.

বিষয়টি বিস্তারিত রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা কে জানানোয় তিনি রামু থানায় লিখিত  এজাহার দায়েরের পরামর্শ দেন।২০ মে রাতেই রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন এর দপ্তরে গিয়ে নির্যাতিতা ছমিরা বেগমের পিতা ঈমাম হোসেন বাদী হয়ে লিখিত এজাহার জমা দেন। এ সময়  রামু থানার ওসি নির্যাতিতা ছমিরার পিতার মুখ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনেন এবং অপরাধীদের শাস্তি  নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।.

তবে  এদিকে লিখিত এজাহার দায়ের পরবর্তী ২ দিন এবং  ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলে ও এ রিপোর্ট লেখাকালীন সময় ২২ মে রাত ১০'১০ ঘটিকা পর্যন্ত এজাহার রামু থানায়  নথিভুক্ত হয় নাই বলে বাদী ঈমাম হোসেন এ প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন।. .

ডে-নাইট-নিউজ / দিদারুল আলাম জিসান 

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ