• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

রাঙ্গুনিয়া পাওয়ার টিলার দেওয়ার নামে কৃষকের সাথে প্রতারনা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৮ পিএম;
রাঙ্গুনিয়া পাওয়ার টিলার দেওয়ার নামে কৃষকের সাথে প্রতারনা
রাঙ্গুনিয়া পাওয়ার টিলার দেওয়ার নামে কৃষকের সাথে প্রতারনা

রাঙ্গুনিয়ায়  পাওয়ার টিলার দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন কৃষকের কাছে মুঠোফোনে টাকা দাবী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপসহকারী কৃষি অফিসার পরিচয় দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড ও ৫ হাজার ১০০ টাকা করে দাবি করা হচ্ছে বলে জানা যায়। তবে উপজেলার কোন কৃষি কর্মকর্তা কাউকে এভাবে ফোন দেননি এবং পাওয়ার টিলার বিতরণের কোন কার্যক্রম চলছে না বলে জানায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার। এটি প্রতারক চক্রের কাজ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সক্রিয় এই প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।.

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক সুনীল দাশ। মঙ্গলবার সকালে রুহুল আমিন নামে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি ফোন করেন তাকে। ফোনে তাকে জানানো হয়, তার নামে একটি আধুনিক পাওয়ার টিলার মেশিন বরাদ্দ হয়েছে। উপজেলা পরিষদে বৃহস্পতিবার এটি হস্তান্তর করা হবে। তবে সে জন্য তার দেওয়া একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন ২টার মধ্যে ৫ হাজার ১০০ টাকা ও মোবাইলে ভোটার আইডি কার্ড নম্বর দিতে হবে। পরে তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে ছুটে যান। সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি জানান, এ নামের কোন স্টাফ তাদের নেই। কোন কৃষককে এভাবে ফোন করা হয়নি এবং পাওয়ার টিলার বিতরণের কোন কার্যক্রমও উপজেলায় এখন চলছে না।.

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু সুনীল দাশই নন, তার মতো কোদালা ইউনিয়নের আরও ৬ জন কৃষককে এভাবে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়েছে।.

বিষয়টি জানতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া রুহুল আমিন নামের ওই ব্যক্তির মুঠোফোনে (০১৭২৮-৭০২২৬৮) একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।.

এই ব্যাপারে উপজেলা কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রাঙ্গুনিয়ায় সাধারণের মানুষের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিতে একাধিক প্রতারক  চক্র সক্রিয় রয়েছে। চক্রটির কারণে সাধারণ মানুষ প্রায়শই প্রতারিত হচ্ছেন। চক্রটিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।.

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস বলেন, কোন অফিসার কখনও এভাবে টাকা চাইবে না। কারও কাছ থেকে এভাবে টাকা চাইলে, সংশ্লিষ্ট অফিসে এসে সরাসরি কথা বলতে হবে। প্রতারক চক্রটির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হবে এবং এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।. .

ডে-নাইট-নিউজ / শ্রীকান্ত চৌধুরী ,রাঙ্গুনিয়া

কৃষি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ