• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

বৃটেনে রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের ফাইন্যান্স ম্যানেজার বিশ্বনাথের আব্দুল লতিফ ফরহাদ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৮ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১৫ এএম;
বৃটেনে রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের ফাইন্যান্স ম্যানেজার বিশ্বনাথের আব্দুল লতিফ ফরহাদ
বৃটেনে রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের ফাইন্যান্স ম্যানেজার বিশ্বনাথের আব্দুল লতিফ ফরহাদ

আসা-যাওয়ার খেলাঘর এ পৃথিবী।মানুষ আসছে।আবার একটি নির্ধারিত সময় শেষে চলে যাচ্ছে অনন্ত জীবনে। যেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা মোটেই নেই।হাজার হাজার সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টি হিসেবে ঘোষিত স্রষ্টা কর্তৃক।প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায়।কিন্তু সবার প্রতিভা প্রস্ফুটিত হয় না নানাবিধ কারনে।আবার কেহ কেহ একটু পরিচর্য়ার মাধ্যমে বা সহজিয়া ভাবে প্রাপ্ত হন সফল মানুষের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।.

একটি চারা রোপন করেই যেমন সুন্দর, সুষ্ঠু, সফল,পরিপুষ্ট ফলন,ফল প্রাপ্তি আশা করা হাস্যস্পদ। চারা রোপনের পর অনেক কাঠখড়, পরিশ্রম, পরিচর্য়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে একটি গাছকে ফুল,ফল প্রাপ্তির দিকে এগিয়ে নিতে হয়।সঠিক সময়ে সঠিক ও সুন্দর ফল প্রাপ্তি আশাব্যঞ্জক।মানুষের ক্ষেত্রেও অনুরুপ ধীরে ধীরে,ক্রমান্বয়ে সিড়ি বেয়ে জীবন গড়ে তুলতে হয়, একজন সফল ও সার্থক মানুষ রুপে গড়ে উঠেন।আমাদের আজকের নিবন্ধ যাকে নিয়ে লিখার আশা ভরসা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।.

তিনি এভাবেই হয়েছেন, গড়ে উঠেছেন সফলতার শীর্ষে। সফলতার গল্প আনন্দের, খুশির বন্যার।বাঙ্গালীরা আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গৌরবের সহিত বসবাস করছেন।এগিয়ে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রজন্মের অনুপ্রেরণার, অনুসরণের মডেল রুপে।কৃতিত্ব ও সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন সুনামের সহিত।মুলত: বাঙ্গালী হলে ও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে উচ্চাসনে আরোহনের মাধ্যমে।কর্ম দক্ষতায় অর্জন করছেন সুখ্যাতি।.

কাজ বা কর্ম দক্ষতাই মানুষকে সফল মানুষ রুপে সুখ্যাত করে তোলে।এহেন সুখ্যাতিতে জন্মস্থান কিংবা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালী কমিউনিটির মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে একের পর এক।প্রবাসী বা রেমিটেন্স যোদ্ধারা স্বদেশে যোগান দিচ্ছেন সিংহভাগ অর্থনৈতিক যোগান।অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি পেয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাদের অবদানের বিনির্মিত ফসলে।হচ্ছি আমরা গর্বিত ও আনন্দিত।.

বলছিলাম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নগর (নোয়াপাড়া) গ্রামের পিতা মরহুম আব্দুল মছব্বির (বশির মিয়া) ও মাতা জাহানারা বেগমের সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান আব্দুল লতিফ ফরহাদের কথা।তরুণের তারুণ্যে ভরপুর ফরহাদ বর্তমানে বৃটেনে করছেন অবস্থান।সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের ফাইন্যান্স ম্যানেজার হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সহিত।কুড়াচ্ছেন সুনাম ও সুখ্যাতি।বৃটেনের মত দেশে রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিষয়ক দায়িত্ব পালন কতটুকু যোগ্যতা, মেধা ও মননের মাধ্যমে পালন করতে হয় তা একটু সুক্ষ্ণ ভাবে লক্ষ্য করলেই সহজে অনুমেয় হবার কথা যে কারো।.

ফরহাদ রাজস্ব মন্তণালয়ের ফাইন্যান্স ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে। এর পূর্বে তিনি বৃটেনের পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সহকারি প্রকল্প পরিচালক পদে ২০২০ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে যোগদান করে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।তাই বর্তমান সময়ে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে ফরহাদ একজন সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়েছেন। বৃটেনে কর্মরত ফাইন্যান্স ম্যানেজার আব্দুল লতিফ ফরহাদ জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৮৯ সালে সবুজে ঘেরা নিভৃত পল্লী বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়নের জয়নগর (নোয়াপাড়া) গ্রামের এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে।ফরহাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ফরহাদসহ ৬ ভাই ও ৪ বোনের এক গর্বিত পরিবার।.

ভাইদের অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং দুই ভাই রয়েছেন বাংলাদেশে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।ফরহাদের শিক্ষা জীবন শুরু হয় ১৯৯৫ সালে জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।১৯৯৯ সালে কৃতিত্ব পূর্ণ ফলাফলের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করে তিনি সিলেটের শাহজালাল জামেয়া পাঠানটুলা মাদ্রাসা থেকে ২০০৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সমাপ্ত করেন। তাঁর বর্ণিল শিক্ষা জীবনের পরবর্তী ধাপ মানে গ্রাজুয়েশন সমাপন করেন রাজধানী ঢাকার স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে। সে সময় পাডি জমান বৃটেনে।.

সেখানে গিয়ে তিনি আবারো বৃটেনের অক্সফোর্ড ব্রুকস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ২০১৬ সালে।অত:পর আব্দুল লতিফ ফরহাদ বিপিপি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার্টার্ড একাউন্টিং বিষয়ে পড়ালেখা করছেন। এ ধাপে দু’টি বিষয়ে পরিক্ষার বাকি রয়েছে। তবে এ বছরই তা সমাপ্ত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদী।.

সফলতার সহিত তিনি উত্তীর্ণ হলে বৃটেনের বাঙ্গালী কমিউনিটিতে একজন গর্বিত বাঙ্গালী চ্যাটার্ড একাউন্ট্যান্ট হিসেবে সুখ্যাতির অধিকারী হবেন।আমাদের দোয়া র’ল স্নেহাস্পদ আব্দুল লতিফ ফরহাদের তরে তিনি প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করে আমাদের মুখ করবেন প্রোজ্জ্বলিত, আমরা হব আনন্দে উদ্বেলিত ও গর্বিত। স্মর্তব্য আব্দুল লতিফ ফরহাদের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী আসকর ও বৃটেনে রয়েছেন চ্যাটার্ড একাউন্ট্যান্ট হিসেবে কর্মব্যস্ত। জনাব আলী আসকর আব্দুল লতিফ ফরহাদের জৈষ্ট্য ভ্রাতা যিনি চ্যাটার্ড একাউন্ট্যান্ট। তিনি ২০০৮ সালে লন্ডন থেকে বিজনেস ফাইন্যান্সে (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন।তারপর ২০১৪ সালে বৃটেনের একটি ইউনির্ভাসিটি থেকে চ্যাটার্ড একাউন্ট্যান্ট ডিগ্রি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের মাধ্যমে অর্জন করেন।.

প্রথমে সিনিয়র ফাইনান্স ম্যানেজার, ডিপার্টমেন্ট ফর ডিজিটেল কালচার এন্ড স্পোর্টস (২০১৭-২০১৮)।কমনওয়েলথ গেমস বার্মিংহাম ২০২২ সালের ১১,৫০০ কোটি টাকার অর্থ মন্ত্রণালযের অনুমোদন পেতে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন।তিনির চার্টার এ্যাকাউন্ট্যান্ট চলাকালীন সময়ে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন ২০১৫ সালে।অত:পর তিনি সরকারি খাতে চলে আসেন এবং যুক্তরাজ্যের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।যুক্তরাজ্যের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন সময়ে ৮০০০ কোটি টাকার বাজেট অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পরিচালনা করেন।.

২০১৮ সালে তিনি সিভিল সার্ভিস ছেড়ে বেসরকারি খাতে সিনিয়র ফাইন্যান্স বিজনেস পার্টনার হিসেবে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করছেন।অপর দিকে উভয় ভ্রাতার আপন চাচা ছিলেন বাংলাদেশে সিনিয়র রেঞ্জার।অন্য দিকে বলতে গেলে সোজা কথায় বা ভাষায় খাজাঞ্চি ইউনিয়নের একই গ্রামের একই পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন হচ্ছেন চ্যাটার্ড একাউন্ট্যান্ট ও আরেকজন চ্যাটার্ড একাউন্ট্যান্ট হিসেবে সফলতার দ্বারপ্রান্তে করছেন অবস্থান।সেক্ষেত্রে আব্দুল লতিফ ফরহাদ উত্তীর্ণ হলেই আমরা পেয়ে যাব একটি প্রস্ফুটিত পুষ্পকানন জয়নগর গ্রামের মধ্যে এবং বিলেতের মাটিতেও।এ দু’ভাই-ই হবেন আত্মজাগরণের পথিকৃত প্রতিভাত বিচ্ছুরণ।তাঁদের প্রতিভা, আদর্শ ও সফলতা আমাদের পরিচয়ের স্বভাব ও স্বরুপ হিসেবে হবে পরিগণিত।.

সবচেয়ে আশার সঞ্চার করে যখন মোহাম্মদ আলী আসকর মাঝে মাঝে আমাকে ফোনে আলাপের মাধ্যমে জানান দেন কাংখিত, ইপ্সিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্যক্ততা।শিক্ষা বিস্তারে কি ভাবে অবদান, উচ্চশিক্ষার হার বর্ধিতকরণে এগিয়ে যাবার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দৃঢ়তর আশাবাদ।আমি আলী আসকরের মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।.

গরিব, অসহায়দের শিক্ষাক্ষেত্রে যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা দুরীকরণে সচেষ্টতার পুরো লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে।এমন কি আলী আসকর সে বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আংশিক কাজ শুরু করেছেন।পরিসর বর্তমানে ক্ষুদ্র হলেও যাচাই বাচাইয়ের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল দেখে পরবর্তীতে বৃহদাকারে পদক্ষেপ গ্রহণের পথে চলেছেন মনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রুপায়নের নিমিত্তে।আলী আসকরের সহিত রয়েছেন তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের মতামত সম্পৃক্ততা।আলী আসকরের গৃহীত পদক্ষেপ, স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গ্রামবাসীসহ এলাকার মানুষের সহযোগিতা খুবই গুরুত্ববাহী।ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের নজরদারী, সচেষ্টতা, সক্রিয় অংশ গ্রহণ অবশ্যম্ভাবী।বর্তমান সময়ে গ্রামে অবস্থানরত তরুণদের উৎসাহ, উদ্দীপনা আশাব্যঞ্জক সাড়া জাগায়, আশান্বিত করে।আশা ও স্বপ্ন নিয়ে মানুষের জীবন ও অন্যান্য কর্মক্ন্ড পরিচালিত হয়, হচ্ছে।এ পরিবারের চিন্তা ভাবনাকে মহান আল্লাহ যেন বাস্তবায়ন,সফলতায় সহায় হোন এ আর্তি আমার হৃদয়জ।.

.

ডে-নাইট-নিউজ / মিজানুর রহমান মিজান

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ