• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

বাঁচতে চান পঙ্গুত্ববরণকারী মেধাবী শিক্ষার্থী রিনা আক্তার


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:০৬ পিএম;
বাঁচতে চান পঙ্গুত্ববরণকারী মেধাবী শিক্ষার্থী রিনা আক্তার
বাঁচতে চান পঙ্গুত্ববরণকারী মেধাবী শিক্ষার্থী রিনা আক্তার

রিনা আক্তার। বয়স ২৫। খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী হতদরিদ্র ঘরের এই রিনা আক্তার। স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষে ব্যাংকার হওয়ার। চাকুরি করে দরিদ্র বাবা মায়ের দারিদ্রতা ঘুচিয়ে তাদেরকে সুখের দিন দেওয়ার। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! নেমে এলো ঘোর অন্ধকার। ব্রেণ স্ট্রোক কেড়ে নিলো রিনার সব স্বপ্ন। ব্রেণ স্ট্রোকের কারণে পঙ্গুত্ববরণ করে দীর্ঘ চার বছর থেকে শয্যাশায়ী রিনা আক্তার। বিছানায় ফেলছেন শুধুই অশ্রু। .

রিনা আক্তার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরএলাকার গৌরীপাড়া থানাপাড়া গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় কন্যা।.

জানা যায়, ২০১৯ সালে তার ব্রেণ স্ট্রোক হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আনা হয় রিনাকে। পরে রিনা আক্তারের পায়ে ঘা দেখা দেয়। সেই ঘা ধিরে ধিরে পুরো পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তার কোমড় থেকে দুই পা প্যারালাইসড হয়ে যায়। .

পঙ্গুত্ববরণ করেই ২০২১ সালে সে হুইলচেয়ারে বসে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় ৩.৮৮ পান। দীর্ঘদিন থেকে শয্যাশায়ী থাকতে থাকতে রিনা আক্তারের শরীরের পেছনে পার্শ্বে ঘা দেখা দেয়। সে ঘা গুলো আলসারে পরিণত হয়। পরে তার হতদরিদ্র বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়েকে সুস্থ করতে প্রতিবেশিদের কাছে সহযোগিতা, সরকারি অনুদান গ্রহণ করেন। তাতেও টাকা না হওয়ায় তিনি বারোকোনা গ্রামে থাকা তার বাড়িটি বিক্রি করে দেন। পরে সে টাকা নিয়ে ভারতের ভেলরে খ্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, বাংলাদেশে ভুল চিকিৎসার কারণে রিনা আক্তারের স্পাইনাল কটের নার্ভ এর সমস্যা হয়েছে। ৬ মাস পর (জুন ২০২৩ইং) আবারো রিনাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসতে বলেন চিকিৎসক। এবার স্পাইনাল কটের নার্ভের অপারেশন করা হবে। .

রিনা আক্তারের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দিনমজুর আমার পক্ষে মেয়ের চিকিৎসাভার টানা সম্ভব না। ইতোপূর্বে প্রতিবেশিসহ সরকারি সহায়তা নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করিয়েছি। সেখানের ডাক্তার আবারো জুন মাসে মেয়েকে নিয়ে যেতে বলেছেন। স্পাইনাল কটের নার্ভের অপারেশন করাতে হবে। সেটি না করালো পুরো শরীর প্যারালাইসড হয়ে যাবে। সে অপারেশনে করতে প্রয়োজন বাংলাদেশি প্রায় ৪ লাখ টাকা। এখন তো ভারতে নিয়ে যাওয়া দূরের কথা ওষুধ কেনারও সামর্থ্য নাই। মেয়েকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন এই বাবা। .

রিনা আক্তার বলেন, পড়ালেখা আমার খুব ভালো লাগতো। আমি একাউন্টিং নিয়ে অনার্স করে ব্যাংকে চাকুরী করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার সব স্বপ্ন শেষ। আমি চাইলেও আর কিছু করতে পারিনা। আমার গরীব বাবার পক্ষে আমার চিকিৎসা চালানো সম্ভব না। তিনি বাড়িও বিক্রি করেছেন আমার চিকিৎসার জন্য। এখন আমরা ঝুপড়ি বাড়িতে থাকছি। আমি সবার কাছে সহযোগিতা চাই। আমি সুস্থ হয়ে পড়ালেখা করে চাকুরি করতে চাই। আমার বাবা-মার দুঃখ দূর করতে চাই। .

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমার চিকিৎসাসহ বাবাকে একটি বাড়ি দেয়ার অনুরোধ করছি। আমার বাবা দিন মজুর সবসময় কাজ জুটে না। ঠিকমতো খাবারও জোটে না আমাদের। .

রিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগের তার মুঠোফোন ০১৩১৫-৭১৩১৪০। তাকে সহযোগিতা পাঠাতে উপরোক্ত নাম্বারে বিকাশ বা নগদে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন রিনা আক্তার। . .

ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ