• ঢাকা
  • শনিবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৬ আগষ্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

পাহাড়ের চূড়ায় ভাসছে যেন সাগরের বিশাল জাহাজ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:২৯ পিএম;
পাহাড়ের চূড়ায় ভাসছে যেন সাগরের বিশাল জাহাজ
পাহাড়ের চূড়ায় ভাসছে যেন সাগরের বিশাল জাহাজ

কক্সবাজার সদর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলা। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে রশিদনগর ইউনিয়নের একটি পাহাড়ে আকর্ষণীয় পার্ক, নাম তার স্বপ্নতৈরী। এই তৈরীটি সরকারি খাসজমির উপর নির্মিত, পাহাড়টি সম্পূর্ণ অক্ষত রেখেই প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুটের জায়গায়, এই জায়গায় স্বপ্নতৈরী নামের আস্ত এই জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছে। .

এটির নির্মাণ কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় তৈরী নির্মাণের মধ্য দিয়ে এলাকাটি গড়ে তোলা হয়েছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে। পাহাড়টি নিয়ে গড়া হয়েছে স্বপ্নতৈরী পার্ক। পাহাড়ের পাশেই রয়েছে বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের সবুজ বাগান। .

সেই সাথে পাহাড়টিকেও পুরোপুরি সবুজায়ন করার জন্য চলছে পাদদেশে গাছের চারা লাগানোর কাজ। বিশাল পাহাড়টি নিয়েই চারতলাবিশিষ্ট জাহাজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে গত এক বছর আগে। স্থানীয় চা দোকানি ওসমান বলেন, জাহাজের নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই এখানে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে।.

দোকানী আরো বলেন,  আগে আমার দোকানে দৈনিক হাজার পাঁচ শ' টাকা বিক্রি হতো, আর এখন হচ্ছে চার- পাঁচ হাজার টাকা। তিনি জানান, অনেকেই গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলেন এবং মোবাইলে সেলফি ধারণ করেন।.

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, রড সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা জাহাজটির ভেতরে-বাইরে পুরোটাই জাহাজের অবিকল অবয়ব রাখা হয়েছে। স্বপ্নতরী পার্কটি ঘুরে আরো দেখা গেছে, মহাসড়কের চলন্ত গাড়ির যাত্রীদের দৃষ্টিটাই থাকে পাহাড়ে স্বপ্নতরী জাহাজের উপর।.

জাহাজের নিচতলায় তিনটি কক্ষ, দোতলায় সেমিনার কক্ষ ও রেস্টুরেন্ট, তিনতলায় বিশ্রামাগার এবং চারতলায় বসার স্থান। দেখতে যেন সাগরে ভাসমান একটি জাহাজে যা থাকে তার সবই রাখা হয়েছে এটিতে। যেমন জাহাজের নোঙর থাকবে, ওপরে থাকবে চিমনি, সেই চিমনি থেকে যথারীতি ধোঁয়াও বের হবে, বাস্তবে জাহাজের রেস্টুরেন্টের চুলার ধোঁয়া চিমনি থেকে নির্গতের ব্যবস্থা করা হয়েছ।.

জাহাজে স্টিয়ারিং, লাইটিং, বয়া, শিকলসহ বিপদের সময় ব্যবহারের ডিঙি নৌকা এবং রয়েছে ৭৫ ফুট লম্বা জাহাজের মাস্তুলও। মহাসড়কের পাশে পর্যটনকেন্দ্রটি স্থাপনের উদ্যোক্তা ছিলেন, বদলি হয়ে যাওয়া রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা। জানা যায়  ইউএনও প্রণয় চাকমা থাকাকালিন সময়ে বেশ কয়েক মাস আগে পাহাড়টির মাটি কাটা শুরু করেছিল স্থানীয় লোকজন। আশপাশের গাছগাছালিও  প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে। .

স্হানীয় সিরাজুল ইসলাম  জানান, তিনি একবার অভিযানে এসে পাহাড়টি রক্ষার কথা ভাবতে গিয়েই পার্ক করার স্বপ্নদেখেছেন।  রম্যভূমি নামের রামুতে বুদ্ধমন্দির ছাড়া তেমন দর্শনীয় স্থান নেই। স্বপ্নতৈরী পার্কটি পুরোপুরি রূপ পেলে মহাসড়কের পাশে আরো একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র যোগ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।. .

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ