• ঢাকা
  • সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২:১৩ এএম;
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি রুমান খান : বিজ্ঞ আদালতের জারিকৃত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারার নোটিশ এবং ভূমির ওপর জারি করা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাকে সম্পূর্ণভাবে অবজ্ঞা করে বিরোধপূর্ণ জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা মৌজায়।.

 .

 .

​মামলার বাদী আব্দুল আজিজ অভিযোগ করেছেন যে, আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বিবাদীরা শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ অমান্য করেছেন। আইন অমানু্যকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।.

​আদালতের নির্দেশনা ও মামলার প্রেক্ষাপট
​কুন্ডা মৌজার বিশাল অংশে ভূমির স্বত্ব ও দখল সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে বিজ্ঞ আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় দুটি পৃথক নোটিশ (পি) মামলা নং-১৫৭৪/২৫ এবং ১৫৭১/২৫) জারি করেন।.


​একই সঙ্গে, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই বিরোধপূর্ণ ভূমির ওপর যেকোনো প্রকার হস্তান্তর বা কাঠামো নির্মাণে সম্পূর্ণভাবে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

​নোটিশ ইস্যু: গত ৩০ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে এই নোটিশ ইস্যু করা হয়।
​ নাসিরনগর থানা পুলিশকে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে উভয় পক্ষকে কঠোরভাবে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
​বিবাদীদের হাজিরার তারিখ: ২য় পক্ষ তথা বিবাদীদেরকে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে মামলার বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে।
​আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল:
 "নোটিশ প্রাপ্তির পর থেকে তারা যেন নিজ নিজ অবস্থানে থেকে শান্তি বজায় রাখেন এবং কোনোভাবেই স্থিতাবস্থা ভঙ্গ না করেন।"
​সূত্রের খবর এবং বাদী আব্দুল আজিজের অভিযোগ অনুযায়ী, আদালতের ১৪৫ ধারায় নোটিশ জারি এবং জমিতে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সাইনবোর্ড স্থাপন করা হলেও, বিবাদীরা সেই নির্দেশকে সম্পূর্ণভাবে অবজ্ঞা করেছেন।
​অভিযোগে বলা হয়েছে,অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিবাদী পক্ষের লোকজন সম্মিলিতভাবে বিরোধপূর্ণ ফসলি জমির সব পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে কাটা এই ধানের একটি অংশ ইতোমধ্যে এক ব্যক্তির নিকট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় (১৮০ হাজার) বিক্রি করা হয়েছে।
অবশিষ্ট ধান আসামিরা বর্তমানে তাদের বসতবাড়িতে মজুত করে রেখেছেন।
​এই ধান কেটে নেওয়ার ঘটনাটি আদালতের কঠোর নির্দেশনার সরাসরি অবমাননা।

​মামলার বাদী:
​আব্দুল আজিজ (পিতা: মৃত মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়া), সোহাগপুর, আশুগঞ্জ।.

​বিবাদী (২য় পক্ষ) হিসেবে অভিযুক্তরা:
​মো. ফারুক খান (পিতা-হামিদ খান), কুন্ডা, নাসিরনগর।
​মো. পারভেজ আহমেদ ভূঁইয়া (পিতা- আবু মুসা ভূঁইয়া), কুন্ডা, নাসিরনগর।
​বিপ্লব চন্দ্র দাস (পিতা- মৃত বিনোদ চন্দ্র দাস), বিটুই, নাসিরনগর।
​ফোরকান উদ্দিন (পিতা- মনতাজ আলী), নোয়াগাঁও, সরাইল।.

​প্রশাসনের কাছে বাদীর জোর দাবি ও আকুল আবেদন ​আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো এমন কাজের জন্য বাদী আব্দুল আজিজ নাসিরনগর প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
​সাংবাদিকদের কাছে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, "অতিরক্ত জেলা আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও ১৪৫ ধারার নোটিশ থাকা সত্ত্বেও আসামিরা যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।  (সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন " আমি আশা করি তারা এই ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেবেন না।"
​একই সঙ্গে, তিনি বিচার নিশ্চিত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "ডিসি'র কাছে আকুল আবেদন, তিনি যেন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে আমাদের বিচার যেমন করে হোক নিশ্চিত করেন।"
​স্থানীয়ভাবে, এলাকার সাহেব সরদারও এই গুরুতর বিষয়টির প্রতি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি সাংবাদিক ভাইদের কাছেও কঠিনভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে এই আইন অমান্যের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয় এবং দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
​সবশেষে, বাদী পক্ষ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান যে, আইন অমান্যকারী আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং বিরোধপূর্ণ জমির কাটা ধান অবিলম্বে রক্ষা করে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা হোক।. .

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ