
তক্তার চালা, চাঁন শহর (সখিপুর -টাংগাইল) হাই স্কুলের সাথেই পশ্চিম পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে আধুনিক শিল্প স্থাপনা ঘিরে মনোরম পরিবেশে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন হালের সেরা আধ্যাত্ত্বিক ও জাগতিক বিশ্বের অন্যতম মহান কৃতি পুরুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ শাহ সুফী সৈয়দ ছামান উল্লাহ আল মস্তানজী( রহঃ)। .
সখীপুর উপজেলা তথা সারাদেশ জুড়ে যার যশ,কৃতি, সুনাম এবং সকলের প্রিয় মানুষ ছিলেন ছামান উল্লাহ মস্তানজী (রহঃ)। দেশ জুড়ে রয়েছে তাঁর অগনিত ভক্ত ও আশেকান। প্রতি বছর তিনটি বড় মেলায় দেশ বিদেশের হাজারো ভক্ত আশেকানের উপস্থিতিতে মাজার প্রাঙ্গণ থাকে উৎসব মুখর।তাছাড়াও প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত আশেকান জমায়েত হন মাজারে। এক এক জনের এক এক মানত করতে চলে আসেন মাজার প্রাঙ্গণে। .
সেই ১৮৩৬ খ্রীস্টপূর্ব সালের কথা। ছামান চাঁনের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজ পরিবারের লোক।ব্রিটিশ রাজ পরিবারের লোকজন যে সকল অস্ত্র ও গোলা বারুদ ব্যবহার করতো ছামান চাঁনের পূর্ব পুরুষরাও সেই একই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করতো।ব্রিটিশ শাসনামলে ছামান চাঁনের দাদা ভারতীয় উপমহাদেশে আসেন ব্যবসায়িক কাজে। ৭ তালা লঞ্চ সাজিয়ে নৌপথে আমাদের বাংলাদেশ আসেন। হতেয়া রাজাবাড়ি, সখিপুরে তাঁদের নিকট আত্ত্বীয় থাকায় সেখানেই কিছুদিন অবস্থান করেন। এভাবে আস্তে আস্তে ছামান চাঁনের বাবা হতেয়াতেই বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। .
শৈশব থেকেই ছামান চাঁনের জীবন যাপন খুবই ছিলো ডানপিটে। অসাধারণ জ্ঞানী হওয়ায় সবাই তাঁকে খুব ভালো বাসতো। পড়াশোনা করেছেন বাসাইল ঝনঝনিয়া আলিয়া মাদ্রাসায়। ছাত্র জীবনে তিনি মাঝে মাঝে জুমআর পড়াতেন।যেদিন তিনি জুমআর নামাজ পড়াতেন সেদিন মসজিদে লোকজন কানায় কানায় ভরপুর হয়ে যতো।এমনকি মসজিদের বাইরেও মুসুল্লিরা ভীড় জমাতো।.
ছামান চাঁনের বাবা অত্যান্ত ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। তিন প্রায় ১০০/১৫০ গরু মহিষ পালতেন।বাড়িতে বছরওয়ালী ১০/১২ টা রাখাল থাকতো। ছামান চাঁন মাঝে মাঝে গরু মহিষ চড়াতে রাখালদের সাথে যাইতেন।রাখালরা ছামান চাঁনকে খুব ভালো বাসতেন।মাঠে গরু ছেড়ে দিয়ে ছামান চাঁন নদীর ধারে উঁচু জায়গায় বসে রাখালদের নিয়ে বাঁশি বাজাতেন। তাঁর বাঁশির এতোই শ্রুতি মধুর ছিলো যে আশেপাশের লোকজন বাঁশির সুর শোনার জন্য ভীড় জমাতো।এমনকি সাপ পর্যন্ত ছুটে আসতো ছামান চাঁনের বাঁশির সুরে।.
শুধু মানুষজনই নয়; ছামান চাঁনকে বনের পশু পাখিরাও ভালো বাসতো তাঁর বশ মানতো।.
চলবে....... .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: