• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

কমলনগরে গর্বিত পিতার ছোট মেয়ে চান্স পেলেন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:২৬ পিএম;
কমলনগরে গর্বিত পিতার ছোট মেয়ে চান্স পেলেন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ
কমলনগরে গর্বিত পিতার ছোট মেয়ে চান্স পেলেন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ

নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হলেন।তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষক পিতা মোঃ হারুন অর রশীদের ছোট মেয়ে। হারুন অর রশীদ হাজির হাট তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।.

হারুন অর রশীদ ৫কন্যা সন্তানের জনক তার ছোট মেয়ে লামিয়া সুলতানা রাপ্তি এই বছর আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে,বর্তমানে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ভর্তি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।রাপ্তি ২০২১ সালে কমলনগর হাজির হাট তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীয় জিপিএ-৫ এবং ২০২৩ সালে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।.

 .

রাপ্তি কমলনগর উপজেলার ৭নং হাজির হাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মাষ্টার বাড়ির হারুন অর রশীদের ছোট মেয়ে।রাপ্তির স্বপ্ন একজন বড় মাপের ডাক্তার হয়ে সমাজের নদী ভাঙন কবলিত প্রান্তিক দুস্ত অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে সেবা দেওয়ার।.

উল্লেখ্য আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ (এএফএমসি) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ।বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে।এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ।১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।২০০৯ সাল থেকে এটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব.

প্রফেশনালস(বিইউপি)অধিভুক্ত।[১] এতে দুই ধরনের ছাত্র রয়েছে:মেডিকেল ক্যাডেট (এএফএমসি ক্যাডেট) এবং আর্মি মেডিকেল কর্পস ক্যাডেট (এএমসি ক্যাডেট)।.

 .

রাপ্তির বাবা হারুন অর রশীদ বলেন ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট সংগ্রাম করে বড় হয়েছি।নিজে অভাব বোধ করলেও কখনো পরিবার কিংবা সন্তানদের বুঝতে দিইনি।আমার ৫মেয়ে কোন ছেলে সন্তান নেয়।আমি পেশায় একজন হিসাবরক্ষক মাসে যে পরিমাণ সম্মানি পাই সেগুলো দিয়ে সন্তানদের পড়ালেখার জোগান দিয়েছি।আমার ৫মেয়ের মধ্যে রাপ্তি সবার ছোট সে ছোট বেলা থেকে অধম্য মেধাবী।আমার স্বপ্ন ছিলো পরিবারের ছোট মেয়েকে ডাক্তার বানাবো।আল্লাহ আমাদের সহায়ক ছিল,আমার মেয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ চান্স প্রাপ্ত হয়েছে।এতে আমি অনেক বেশি আনন্দিত ও খুশি আমার ছোট মেয়ের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।সে যেন একজন মানবিক ডাক্তার হয়ে সমাজের অসহায় হতদরিদ্র নিরন্ন সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক মানুষের সেবা করতে পারে।. .

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ