মোঃ সায়েস্তা মিয়া, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ প্রকৃতিক পরিবেশ অনূকূলে থাকায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে বইছে হাসির ঝিলিক। হেমন্তে আমন কাটার উৎসব বাঙালির চিরাচরিত ধারা। উপজেলা প্রশাসন এবার আমান কাটার আনুষ্ঠানিক কোন আয়োজন রাখছে না বলে জানা গেছে। সময় যতো এগুচ্ছে ততো ধীরে ধীরে পাকতে শুরু করেছে রোপা আমন। সবুজে চেয়ে আছে অপরিপক্ক রোপা আমন ধানের সোনালী মাঠ। পরিপক্ব না হওয়ায় এখনো ধান কাটার উপযুক্ত হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে প্রায় ১৫ শতাংশ ধান পরিপক্ব হয়েছে এপর্যন্ত। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আগাম পাকা আমন কাটা শুরু হবে এমন তথ্য জানিয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি দপ্তর। ৮০ শতাংশ ধান পরিপক্ব হলেই কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন। .
.
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বর্তমান বছরে ১৩২৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় এবছর ১০ হেক্টর বেশি। উৎপাদিত রোপা আমন থেকে ৩২ হাজার মেট্টিকটন ধান পাওয়া যাবে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। এদিকে কৃষকদের দাবী ৩২ হাজার মেট্টিকটনের বেশি ধান পাওয়া যাবে এবছর । উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ব্রি-৬, এরাইজড ধানী গোল্ড ও ব্রাক-১০ জাতের পাশাপাশি চাষ হয়েছে উপসী জাতের ১০৩, ৯৫, ৯৪, ৯৩, ৯০, ৮৭, ৮৫, ৭৫, ৫২ ও ব্রি ধান ৫১, বিআর ২২ এবং বিনা ২২। স্থানীয় জাতের মাঝে রয়েছে জরিসাইল, কালোজিরা, বিরুইন ও হাসিম।.
.
প্রাকৃতিক পরিবেশ অনূকূলে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সরকারি হিসেবের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে আরো কয়েকটন বেশি ধান উৎপাদন হবে এমন দাবি স্থানীয় কৃষকদের। উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চি, অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, বিশ্বনাথ সদর, দেওকলস ও দশঘর ইউনিয়নের একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে এই বছর সরকারি প্রণোদনা না পাওয়া হতাশা প্রকাশ করেন কৃষকেরা। খাজাঞ্চি ইউনিয়নের চাষী রফিক আহমদ, ফয়জুল ইসলাম, লামাকাজী ইউনিয়নের মধু মিয়া, হারুন মিয়া, আব্দুল হেকিম ও দৌলতপুর ইউনিয়নের মিফতা হোসেন, খালিদ আহমদ জানান গতবছর সার, বীজ ও নগদ অর্থ পেয়েছে কৃষক কিন্তু এবার কিছুই পাওয়া যায়নি। গেল বছর বিশ্বনাথ উপজেলায় সার, বীজের পাশাপাশি ১২ লক্ষ টাকার নগদ প্রণোদনা বিতরণ করা হলেও এবছর নগদ কোনো অর্থ দেয়নি সরকার বিষয়টি স্বীকার করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। .
.
বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার উৎপাদন বেড়েছে। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না থকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। ৮০ শতাংশ ধান পরিপক্ব হলেই কেটে ঘরে তোলার আহবান জানাই সকল কৃষককে। কৃষি বিপ্লবে জড়িত কৃষকদের সকল সহযোগিতা ও পরামর্শে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি দপ্তর কৃষকদের পাশে রয়েছে সবসময়। .
. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: