• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

খাজাঞ্চি-কামালবাজার রাস্তার বেহাল দশা, ভাড়া এখন দ্বিগুণ 


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৪০ পিএম;
খাজাঞ্চি-কামালবাজার রাস্তার বেহাল দশা, ভাড়া এখন দ্বিগুণ 
খাজাঞ্চি-কামালবাজার রাস্তার বেহাল দশা, ভাড়া এখন দ্বিগুণ 

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী-কামালবাজার - বাবনা পয়েন্ট রাস্তার বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সাম্প্রতিক ভয়াল বন্যায় কালভার্টের এপ্রোচ ভেঙে যাওয়া সহ একাধিক স্থানে হয়েছে পুকুরসম গর্ত। যানবাহন বিকল সহ জরুরি রোগী পরিবহনে মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাড়ীর মালিক ও ড্রাইভাররা। রাস্তা সংস্কার করার জন্য এলাকাবাসী বারবার আন্দোলন করছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর পাশাপাশি এ রুটের ড্রাইভার শ্রমিক -মালিকগণ যোগাযোগ করছেন সরকারের বিভিন্ন মহলে। এ নিয়ে ২০২০ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান রাস্তাটি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দেন এলাকাবাসীকে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পর ও কোন কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসী এখন  হতাশ। গেল সপ্তাহে জাতীয় সংসদে খাজাঞ্চি কামালবাজার রাস্তা নিয়ে কথা বলেন এমপি মোকাব্বির খান। তাতে আশানুরূপ কোন ফল পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। খাজাঞ্চি কামালবাজার রাস্তা সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন অফিস সূত্রে যা জানা গেছে তাতেও আশার কিছু নেই। .

এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবু সাঈদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তাঁরা জানান; আমরা রাস্তার পুরো দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে স্কিম প্রণয়ন করেছি। শীগ্রই কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেব। আশা করি কিছু দিনের ভিতরে এই রাস্তা সংস্কারের কাজ আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব।  খাজাঞ্চি কামালবাজার টু বাবনা রাস্তাটি দ্রুত সময়ে মেরামত ও সংস্কার করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি এমনটি জানিয়েছেন তিনি। .

এছাড়া পাশ্ববর্তী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যাক্রান্ত থাকায় সিলেট পৌঁছাতে রাস্তাটি দীর্ঘতা হয়েছে এখন প্রায় ৬ কিলোমিটার বেশি। খাজাঞ্চি থেকে সোজা রাস্তার বদলে মাসুকবাজার টু চন্ডিপুল- তেমুখি বাইপাস রোড হয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিয়ে বাবনা গন্তব্যে পৌঁছছে যানবাহন। একারণে ভাড়া বাড়ানোর সত্যতা স্বীকার করেছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।.

৩০ টাকার ভাড়া এখন ৬০ টাকায় ঠেকেছে। ভাড়া বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা চলাচল করছেন, না চলে বিকল্প আর নেই। গেল করোনা শুরুর আগে এ রুটে সিএনজি ভাড়া ছিল ২৫ টাকা। করোনা এলে তা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। করোনা চলে গেলে রাস্তাটি ভাঙা অযুহাতে করা হয় ৩৫ টাকা। বর্তমানে ৬০ টাকায় যাত্রী পরিবহন করছেন এ লাইনের পরিবহন শ্রমিকরা। ৬০ টাকায় সিলেট পৌঁছাতেও যাত্রীদের তেমন অভিযোগ নেই। বিকল্প না থাকায় গা'সয়া হয়ে গেছে যাত্রীদের। জরুরি কাজে এ রুটে ৩টি উপজেলার নাগরিক সর্বদাই চলাচল করেন। সিএনজি ছাড়া এ রুটে অন্য কোন পরিবহন না থাকায় যাত্রীদের উপর বাড়তি চাপ থাকে সবসময়। শহরগামী ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত অনেক যাত্রীদের সাথে সরেজমিনে কথা বলে যেমনটি জানা গেছে তাতে শুধু হতাশা আর জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বিষয়টি ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। তাদের অভিযোগ; কেউ তাদের উন্নয়ন নিয়ে ভাবছেন না। এ রুটের যাত্রী মাসুদ ও আনোয়ার মিয়া বলেন ; আমরা কার কাছে যাব, কে শুনবে আমাদের কথা। এখন অনেক বাড়তি পথ ঘুরে ৩০ মিনিটের পথ আমরা ১ঘন্টা লাগিয়ে ৩০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকায় মিটিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছি। এছাড়াও কি আর করব? অফিসের চাকুরী তো ছেড়ে দিতে পারব না। চাকুরী ছেড়ে দিলে না খেয়ে মরতে হবে।.

যাত্রী ভাড়া ৬০ টাকা করার কারণ জানতে চাইলে সিলেট জেলা  অটোটেম্পু/ অটোরিকশা চালক শ্রমিক জোট -চট্ট ২০৯৭, খাজাঞ্চি -কামালবাজার -বাবনা উপ-পরিষদ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েক আহমদ, খাজাঞ্চি কামালবাজার রুটের সিএনজি চালক আব্দুস সাত্তার ও লিলু মিয়া জানিয়েছেন রাস্তা অনেকটা দীর্ঘ হওয়ার কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বর্তমানে মাসুকবাজার হয়ে ঘুরে যে সকল সিএনজি শহরে আসছে তা বেশিদিন থাকবে না। বন্যার পানি কমলে আগের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে এই ভাড়া কমিয়ে আগের ভাড়ায় আনা হবে।.

.

ডে-নাইট-নিউজ / স্টাফ রিপোর্টার, মুহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ