• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

লক্ষ্মীপুরে ভারী বর্ষনে গ্রামীন সড়ক, বাড়িঘর ও ফসলী জমি পানির নীছে তলিয়ে গেছে


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ২১ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৪৫ পিএম;
লক্ষ্মীপুরে ভারী বর্ষনে গ্রামীন সড়ক, বাড়িঘর ও ফসলী জমি পানির নীছে তলিয়ে গেছে
লক্ষ্মীপুরে ভারী বর্ষনে গ্রামীন সড়ক, বাড়িঘর ও ফসলী জমি পানির নীছে তলিয়ে গেছে

আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুরঃ গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষনে লক্ষ্মীপুরের অধিকাংশ গ্রামীন কাঁচা-পাকা  সড়ক, নিন্মাঞ্চলের বাড়িঘর ও ফসলী জমি পানির নীছে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দুই লাখ পরিবার। সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলার রামগতি-কমল নগরসহ রায়পুর  ও সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। এই উপজেলা গুলোতে ভারী বর্ষণের পাশাপাশি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী উচ্চতায় জোয়ারে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি এবং রাস্তাঘাট। এছাড়া পুরো জেলার সর্বত্র পুকুর ও মৎস্য খামারের পাড় ভেসে গিযে বেরিয়ে গেছে হাজার হাজার পুকুরের কয়েক কোটি টাকার মাছ।.

 .

কমল নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বুধবার বিকালে আমার বার্তা কে বলেন, তার উপজেলার বেশিরভাগ মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ। অধিকাংশ রাস্তা ঘাটই পানির নীছে তলিয়ে গেছে। তিনি নিজেই নৌকায় করে  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন।   লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আমার বার্তা কে বলেন, তার উপজেলার নিম্মাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হযে পড়েছে। বেশীর ভাগ রাস্তাঘাটই পানির নীছে তলিয়ে গেছে।.

 .

জেলায় প্রবল বর্ষনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে জেলা প্রশাসন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আমার বার্তাকে জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিয়াংকা দত্ত। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয় ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।.

 .

যতই দিন যাচ্ছে ততই আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।  লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বুধবার বিকালে আমার বার্তাকে জানান, ইতিমধ্যে জেলার ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ পানির নীছে তলিয়ে গেছে। ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়া মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।অধিকাংশ বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠেগেছে। তবে এখনো জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। সার্বিক অবস্থা বিচার বিবেচনা করে পরবর্তীতে করনীয় নির্ধারণ করা হবে। তবে শ্রেণীকক্ষ ডুবে যাওয়া এবং পানি বন্দীদের  আশ্রয় নেওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হযেছে।.

 .

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি অফিসের পরিসংখ্যানবিদ  উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন বুধবার বিকালে আমার বার্তাকে বলেন, লক্ষ্মীপুরের ৩ হাজার ৬০৭ হেক্টর জমির আমন  বীজতলার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৭ হেক্টর, রোপা আমান ক্ষতিগ্রস্ত্রস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৯ হেক্টর, আউশধান ৫২৫ হেক্টর, বুনা আমন ৫২০ হেক্টর,পান ৮৫ হেক্টর,সবজি ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর।.

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলায় ভারীবর্ষণ অব্যহত রয়েছে।. .

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ