• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার রামগঞ্জ সড়ক যেন মৃত্যুকূপ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩৬ পিএম;
লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার রামগঞ্জ সড়ক যেন মৃত্যুকূপ
লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার রামগঞ্জ সড়ক যেন মৃত্যুকূপ
 
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার তেমুহনী থেকে মীরগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি চরম বেহাল অবস্থায় পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ। কোথাও কোথাও জমে থাকা পানি ও কাঁদায় চলাচল হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে করে লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন।
 
 
 
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটারজুড়ে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা দালাল বাজার থেকে চৌধুরী বাজার ও কাফিলাতলি থেকে মীরগঞ্জ বাজার অংশে। এসব স্থানে অটোরিকশা, সিএনজি, ট্রাকসহ যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। যানবাহনের ধীরগতির কারণে প্রায় সময়ই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন কোনো না কোনো যানবাহন গর্তে আটকে পড়ে। তখন পুরো রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হয় মাঝপথেই। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় অসুস্থ রোগীদের। সড়কের এমন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
 
 
 
সিএনজি চালক মো. ইউসুফ বলেন, “ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায়ই নাটবল্টু খুলে পড়ে যায়। মাত্র ৯ কিলোমিটার যেতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। এতে গ্যাস বেশি খরচ হয়, কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া সবসময় আদায় করা যায় না। অনেক দিনই ক্ষতিতে পড়তে হয়।”
 
 
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন স্বাধীনতা স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত টেকসই সংস্কার না হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।”
 
তিনি আরও জানান, সড়কটির দুই পাশে প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৬টি ছোট বাজার রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ, রায়পুর উপজেলা ছাড়াও চাঁদপুর ও নোয়াখালীর অসংখ্য মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করে থাকেন।
 
চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রায় সময় দোকানের মালামাল আনতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে, কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি মূল্য নেওয়া সম্ভব নয়। এতে লাভ অনেক কমে গেছে।”
 
কাজীর দীঘির পাড় সমাজ কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, এই রাস্তাটি যখনই নির্মাণ করা হয় অত্যান্ত নিম্নমানের কাজ করা হয়। নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যে আস্তে আস্তে ফাটল শুরু হয়। বর্তমানে এটি প্রায় চলাচলের অনুপযোগী, এবং এখানে প্রায় সময় বড় বড় গাড়ী, বিশেষ করে ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা এখানে অ্যাকসিডেন্ট হচ্ছে। এই রাস্তাটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। আমি আহবান করবো কর্তৃপক্ষের যাতে এই রাস্তাটি অতিদ্রুত সংষ্কার করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দেয়। আমাদের যাতায়াত কে আরও সহজ করে দেয়। 
 
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, “সড়কটি বর্তমানে খুবই নাজুক। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”
.

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ