
টানা তিনদিন ধরে চলমান বৃষ্টিতে বিশ্বনাথের নিম্মাঞ্চল ও হাওয়র গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক হাওয়রের রোপা আমন ধানের চারা এখন তলিয়ে গেছে। অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে এমনটাই ভাবছেন কৃষকেরা।গত বৃহস্পতিবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি এখনও চলমান থাকায় চাষিরা চিন্তিত। হাওয়রে ব্যাপক জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করছেন বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে পরিকল্পনাহীন বাধ ও রাস্তাঘাট নির্মানকে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে এ মৌসুমে আমন চাষাবাদে জড়িত কৃষকেরা লোকসানে পড়বেন নিঃসন্দেহে।.
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার বিশ্বনাথ উপজেলায় সর্বমোট ১৩ হাজার ২৩০ হেক্টর আমন চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড জাতের আমন চাষাবাদ হয়েছে ৫০ হেক্টর, উপসী ১০ হাজার ৪৪০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৭৪০ হেক্টর আবাদি ভুমি। ইতিমধ্যে ১৬০ হেক্টর নিম্মাঞ্চলীয় আমন আবাদ তুলিয়ে গেছে।.
অসমেয় আবহাওয়ার এমন বৈরিতার কারণে আমন ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে কি না এবং কি পরিমান ক্ষতি হবে তা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না এমনটি বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।.
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, প্রকৃতির নিয়মের উপর কারো হাত নেই। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আমন আবাদ বেশি হয়েছিল। অন্যান্য বছরের তুলনায় আমন ধান বেশি উৎপাদনের আশা আমরা করেছিলাম কিন্তু অতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন হাওয়রে চারাগাছ ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন হলে ক্ষতি না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জলাবদ্ধতা বেশিদিন থাকলে কিছুটা হলেও যে ক্ষতি হবে তা নিশ্চিত। . .
ডে-নাইট-নিউজ / মো. সায়েস্তা মিয়া
আপনার মতামত লিখুন: