
প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচসহ শাক-সবজির বাজারে দামের বড় ধরনের পরিবর্তন হয়নি। ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তিতে বাজার করছেন।.
.
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুরের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৬ টাকায়, যা খুচরা বাজারে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে মিলছে। ঈদের আগেও এই দামই ছিল। আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে। রসুনের দাম কিছুটা কমেছে; এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা কেজিতে, যেখানে ঈদের আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে। কাঁচা মরিচের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি। তবে খুচরা বাজারে প্রতিটি পণ্যে ২ থেকে ৪ টাকা বেশি দর দেখা যাচ্ছে।.
পণ্য কিনতে আসা দিপা নিপা হোটেল ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী দুলাল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘দাম স্থিতিশীল থাকায় খাবারের মান বজায় রাখতে পারছি। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় বুটের ডালের পরিবর্তে আলুর ডাল দিচ্ছি, এতে খরচও কিছুটা কমছে।’.
পাইকারি ব্যবসায়ী জয়ন্ত সাহা জানান, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশীয় উৎপাদনই চাহিদা মেটাচ্ছে। ফলে দাম বাড়েনি।’.
আরেক বিক্রেতা মিহির প্রামাণিক বলেন, ‘পাবনা, মেহেরপুর, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পেঁয়াজ ও রসুন এসেছে। প্রশাসনের নজরদারিও রয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: