মিজানুর রহমান মিজান.
.
.
পৃথিবী পরিবর্তনশীল।পরিবর্তন যার স্বভাবজাত বলা যেতে পারে।আজ যা অতীব প্রয়োজনীয়,কাল তা পরিহারযোগ্য।সময়ের সাথে অনেকটা মিল রয়েছে পরিবর্তনের।উনিশ শতকের ষাট থেকে আশির দশকে আমাদের দেশে এ যন্ত্রটি ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে।নাম ছিল যার টাইপ রাইটার।সে সময় এসএসসি ফাইনাল পরিক্ষার পর ফলাফল প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান প্রায় অবধারিত ছিল তিন মাস।সুতরাং এ তিন মাস ঘরে বসে না থেকে অনেক ছাত্ররা টাইপ শিখন কাজে মনোনিবেশ করতেন।কোর্টকাচারীর যত্রতত্র দেখা যেত টাইপ রাইটিং যন্ত্র নিয়ে তরুণরা টাইপরাইটিং কাজ করতে।যা ছিল আয় রোজগারের একটি উপায় বা কর্ম।সময়ের পরিক্রমায় আজ টাইপ রাইটিং মেশিন বা যন্ত্রটি চলে গেছে হারিয়ে কোন সে বনে।অথবা যাদু ঘরে যার অবস্থান হয়েছে অতি যত্নের সহিত।.
.
.
.
.
.
.
.
.
টাইপিংএ যে মিনিটে ৩০ বা তারও অধিক শব্দ লিখতে পারতেন,তারা ছিলেন পারঙ্গমতার শীর্ষে এবং যশ ও খ্যাতির অধিকারী।টাইপ রাইটিং এর স্থান বর্তমানে দখল করে নিয়েছে আধুনিক আবিস্কৃত ল্যাপটপ,কম্পিউটার ইত্যাদি।টাইপ রাইটিং লেখা আলাদা করে বের করতে হত না। কাগজের বুকে লিখলে সরাসরি তা কাজের উপযোগি হয়ে যেত।কম্পিউটারের মত টাইপ করে প্রিন্ট বের করার প্রয়োজন ছিল না।আজকের প্রজন্ম বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তা হয়ে গেছে অচেনা, অজানা হিসাবে।বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিরা বর্তমানে স্মৃতির পাতায় জমে থাকা অতীত স্মৃতিময়তায় ফিরে দেখেন,স্মরণ করেন শুধু।.
. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: