• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

হবিগঞ্জের চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কেবিনে চলছে অন্তরঙ্গ ডেটিং


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:২৯ পিএম;
হবিগঞ্জের চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কেবিনে চলছে অন্তরঙ্গ ডেটিং
হবিগঞ্জের চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কেবিনে চলছে অন্তরঙ্গ ডেটিং

হবিগঞ্জ মিনি চাইনিজ এবং ফাস্টফুড দোকানের আড়ালে দেদারছে চলছে অন্তরঙ্গ ডেটিং ও দৃষ্টিকটু কার্যকলাপ। ফলে দিনে রাতে সমানতালে এসব রেস্তুরায় বিভিন্ন বয়সীদের আনাগোনা থাকে। এছাড়া ‘অসামাজিক কাজে’চাহিদা থাকায় নগরের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে গড়ে ওঠছে ও ছোট ছোট কেবিন সম্বলিত অসংখ্য চাইনিজ রেস্তুরা। পুলিশের নাকের ডগায় এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নীরবতা ও অভিযান না থাকার কারণে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীদের পুজি করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে একটি শ্রেণি।.

সরেজমিনে শহরে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা যায়, - রেস্টুরেন্ট হবিগঞ্জ বাইপাাস রোড, ব্য্যাক রোড,  মেইন রোডসহ বিভিন্ন আনাছে কানাছে, ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট, রেস্তুরা চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট, অধিকাংশ রেস্তুরায় দিবা-রাত্রির বেশিরভাগ সময়ই থাকে আলো-আঁধারির খেলা। এই আলো-আঁধারিতেই চলে তরুণ-তরুণীদের ‘অন্যরকম’প্রেমের আদান প্রদান। কেবিনগুলো যেন মধুকুঞ্জ ভরপুর। শুধু এই রেস্তুরাগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। হবিগঞ্জ শহরে অলি-গলিতে নামে বেনামে বৈধ-অবৈধভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে উঠেছে মিনি চাইনিজ ও ফাস্টফুডের দোকান।.

বাহ্যিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হলেও এসব রেস্টুরেন্টের ভেতরে কী আছে তার খবর কেউ রাখে না। বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের ভেতরে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করা। সেগুলোতে আবার পৃথক কপাট (দরজা) আছে। ভিতর থেকে সে কপাট আটকানো যায়। বাহির থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এসবের ভেতরে কি আছে। এই সুযোগে এসব রেস্তুরায় গলাকাটা দাম নেওয়া হয়।.

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব রেস্টুরেন্টের প্রধান আয় আগতদের কাছে থেকে পাওয়া ‘ওয়েটিং বিল’। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণ-তরুণিরা ‘ওয়েটিংয়ের’নামে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।.

ডে নাইট নিউজের অনুসন্ধানে জানা যায়, অসামাজিকতার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে  হবিগঞ্জ ব্য্যাক রোডে ছোট ছোট রেস্টুরেন্টগুলোা  এখানে কেবিন বানিয়ে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। এসব রেস্টুরেন্টে উঠতি বয়সী ধনীর দুলাল- দুলালীরা ডেটিংয়ে বাজিমাত করে।.

এ ব্যাপারে প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে কাস্টমার সেজে নাম্বারে কল দিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে আলো আধাঁরের ব্যবস্থা রয়েছে। .

কাপলদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এখানে যুগল নিয়ে আসলে প্যাকেজ করে খেতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জানান, এসব কেবিনগুলোতে যুগলরা বুকিং নেন ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা দরে। তারা টাকার বিনিময়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেষ্টুরেন্টে আসা এক তরুণ বলেন, প্রেমের অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর জন্য চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আসা। এখানে সব ধরনের ব্যবস্থা করে রাখা আছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওই তরুণ জানান, তারা একে অপরের বন্ধু বটে তবে প্রথমে ফেসবুকে কথা হয়, তারপর ডেটিংয়ের বাজিমাত।. .

ডে-নাইট-নিউজ / উুজ্জ্বল আাহমেদ, হবিগঞ্জ:-

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ