• ঢাকা
  • বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ০৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

শান্তিপূর্ণ সালিশের চরম অবমাননা রাস্তার জমিতে ঘর তুলে এওয়াজ বদল চুক্তিভঙ্গ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০:২২ এএম;
শান্তিপূর্ণ সালিশের চরম অবমাননা রাস্তার জমিতে ঘর তুলে এওয়াজ বদল চুক্তিভঙ্গ
শান্তিপূর্ণ সালিশের চরম অবমাননা রাস্তার জমিতে ঘর তুলে এওয়াজ বদল চুক্তিভঙ্গ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রতিনিধি: রুমান খাঁন। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেও শেষ রক্ষা হলো না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বেড়তলা গ্রামে বংশের প্রবীণ শালিসকারকগণের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া 'এওয়াজ বদল' (জমি বিনিময়) চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে দ্বিতীয় পক্ষ তাদের প্রতিশ্রুত রাস্তার জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এতে ভুক্তভোগী প্রথম পক্ষ বিল্লাল মিয়ারর বড় ছেলে এখন তার অধিকার আদায়ে দেওয়ানি আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।.

স্থানীয় সালিশ ব্যবস্থার প্রতি এমন চরম অবমাননায় এলাকায় তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।.

 .

জমি দিয়েও রাস্তা পেলেন না বিল্লাল.

জানা যায়, বেড়তলা মৌজার ২৯৮ ও ৪৩৭ দাগের অন্তর্ভুক্ত ভূমি নিয়ে প্রথম পক্ষ বিল্লাল মিয়া এবং দ্বিতীয় পক্ষ আল-আমিন ডাক নাম আক্কাস মুন্সী ও আলী মিয়া কালন মিয়া গং-এর মধ্যে চলাচলের রাস্তা সংক্রান্ত জটিলতা দীর্ঘদিনের। এই জটিলতা নিরসনে গত ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ জমি বিনিময়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা বা মুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।.

চুক্তি অনুযায়ী, বিল্লাল মিয়া (প্রথম পক্ষ) তার দখলীয় ভূমি থেকে দ্বিতীয় পক্ষকে সমপরিমাণ ৫৫ পয়েন্ট জমি হস্তান্তর করেন। বিনিময়ে, দ্বিতীয় পক্ষ বিল্লাল মিয়াকে তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ৬ ফুট প্রস্থের ৫৫ পয়েন্ট রাস্তার জমি বুঝিয়ে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন।.

প্রথম পক্ষ বিল্লাল মিয়া তার অংশের জমি হস্তান্তর সম্পন্ন করলেও, দ্বিতীয় পক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। বিল্লাল মিয়ার অভিযোগ, "আমি আমার জমি দিয়েছি, তারা রাস্তা বুঝে নিতে দিচ্ছে না। উল্টো সেই রাস্তার নির্ধারিত টয়লেট তুলে দিচ্ছে। সালিশ মানলো না,".

 .

রাস্তার জমিতে অবৈধ দখল ও অস্বীকৃতি.

বিল্লাল মিয়ার দাবি, চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পক্ষ আক্কাস মুন্সী ও আলী মিয়া গং শুধু রাস্তার জমি দিতেই অস্বীকার করেনি, বরং সেই জমিতে ইতোমধ্যে ঘর বা কাঠামো নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে দখল নিয়েছে। তারা মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা চুক্তি মানতে বাধ্য নন।.

চুক্তিপত্রে স্পষ্টভাবে এই ধরনের লঙ্ঘনের পরিণতি সম্পর্কে বলা ছিল: "যেকোনো পক্ষ ভবিষ্যতে দাবি উত্থাপন করলে তা আইন আদালতে বাতিল বলে গণ্য হবে এবং দণ্ডনীয় হবে।".

এ বিষয়ে স্থানীয় শালিসকারকগণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এক প্রবীণ শালিসকারক বলেন, "এভাবে অঙ্গীকার ভঙ্গ হলে গ্রামের মানুষের সালিশের ওপর আস্থা থাকবে না।.

স্থানীয়ভাবে আমরা শেষ চেষ্টা করছি, কিন্তু এখন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।".

ভুক্তভোগী বিল্লাল মিয়ার বড় ছেলে তার আইনগত অধিকার সুরক্ষার জন্য দেওয়ানি আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।.

তিনি রাস্তার জায়গা অবিলম্বে অবৈধ দখলমুক্ত করে চুক্তি অনুযায়ী তাকে রাস্তা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি।. .

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ