• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ফুলবাড়ীতে ১৫০০ টাকাতেও মিলছে না ৭৫০ টাকার সার


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: রবিবার, ২১ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১১ পিএম;
ফুলবাড়ীতে ১৫০০ টাকাতেও মিলছে না ৭৫০ টাকার সার
ফুলবাড়ীতে ১৫০০ টাকাতেও মিলছে না ৭৫০ টাকার সার

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সারের বাজারে আগুন! মূল্যবৃদ্ধির খবরে বাজাওে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। সাড়ে ৭০০ টাকার  পটাশ (এমওপি) সার কিনতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। আবার বেশি দামেও মিলছে না কাঙ্খিত সার। এতে আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। শঙ্কা দেখা দিয়েছে আমন আবাদে কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে।  .

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় ১০ জন বিসিআইসি ডিলারের কাছে গত শনিবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত সার মজুত আছে, ইউরিয়া ৩৬৭ মেট্রিক টন, পটাশ (এমওপি) ৩০ মেট্রিক টন, ফসপেট (টিএসপি) ১৭৭ মেট্রিক টন ও ডিএপি ৬৮৭ মেট্রিক টন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা এমওপি সারের সংকটসহ দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেন। উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যেই উপজেলার ৮০ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ কাজ শেষ হয়েছে।.

পাঠকপাড়া গ্রামের কৃষক ছাইদুল ইসলামের অভিযোগ, ৭৫০ টাকার পটাশ (এমওপি) সার বাজারে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিলারের ঘরে গিয়েও পটাশ (এমওপি) সার পাওয়া যাচ্ছে না।.

শ্রীরামপুর গ্রামের যোহান হেম্ব্রম বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। চারা রোপণের সময়ও প্রায় শেষ। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে জ্বালানি কিনে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করতে হচ্ছে। এমন সময় বাড়ানো হয়েছে সারের দাম। বেশি দাম দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না পটাশ (এমওপি) সার। এত খরচ করে আবাদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা রয়েছে। .

বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ইউরিয়া ও টিএসপি এক হাজার ১০০ টাকার স্থলে এক হাজার ২০০, ডিএপি ৮০০ টাকার স্থলে ৯০০ এবং পটাশ (এমওপি) ৭৫০ টাকার স্থলে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সার ডিলার খোরশেদুল আলম লালু বলেন, তার বরাদ্দের পটাশ (এমওপি) সার বিক্রি হয়ে গেছে। বাজারে দাম বেশি, তাই ঘরে কোন সার নেই। চাহিদানুযায়ী পটাশ সার সরবরাহ না পাওয়ায় বাজারে কিছুটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।.

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার, পটাশ (এমওপি) সারের তেমন সংকট নেই, তবে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সেটি পাওয়া গেলে চাহিদা পূরণ হবে। সারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। . .

ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

অর্থনীতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ