নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় ফখরুল ইসলাম মন্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত যুবক একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী। এর আগে, একই দিন সকালে মামলাটি রুজু করা হয়। গত সোমবার ৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মামলার বাদী বদিউজ্জামান। ছেলে হত্যার ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৮জনের নাম উল্লেখ করা হয়ে এবং ৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। নিহত ফখরুলের বাবা গতকাল সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার সকালে বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। যাহার মামলা নং-৮।
নিহত বলি উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর ৬টার দিকে বলি তার বড় বোন শাহনাজ আক্তার টুম্পার অসুস্থ মেয়েকে দেখতে তাদের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুনরায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মান্দার বাড়ির দরজায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ১৫/২০জন কিশোর গ্যাং সদস্য তাকে সিএনজিতে কোপ দেয়। পরে সে সিএনজি থেকে পড়ে গেলে তারা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতের পরিবারের দাবি পূর্ব শক্রতার জেরে বলিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব দাবি করেন, আজ সকালে তার ছেলে মিজানুর রহমান ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চৌমুহনী বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। যাত্রা পথে উপজেলার মনতাজ স্যারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে বলি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ছেলেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকা গুলো ছিনিয়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে বলিকে গণপিটুনি দিলে সে মারা যায়। তাৎক্ষণিক বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং নিহত বলির আড্ডা খানায় হামলা চালায়।
তবে নিহত ফখরুলের বাবা বদিউজ্জামান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ছেলে ফখরুলকে ধরে নিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী আরও বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: