
নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি): কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): স্ত্রীর স্বীকৃতি লাভের দাবিতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ১৭ দিন ধরে এক প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করার পর অবশেষে কাবিনের (দেনমোহর) টাকা নিয়ে বিদায় নিলেন এক তরুণী। স্থানীয়দের উদ্যোগে দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের মধ্যে ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে।.
.
.
ঘটনাটি ঘটেছে কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের জাজিরা নামক এলাকার মুসা ব্যাপারীর বাড়িতে।.
.
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালে কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের জাজিরা এলাকার মো. হাকিমের ছেলে আবুল কালাম (কালু)-এর সঙ্গে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকার শাহাবুদ্দিনের মেয়ে তাছলিমা-র গোপনে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর আগে কালু ও তাছলিমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে পরিবারের অজান্তে পালিয়ে গিয়ে ৩ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তারা বিয়ে করেন।.
.
.
বিয়ের পর তারা চট্টগ্রাম শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিছুদিন আগে তাছলিমাকে চট্টগ্রাম শহরের ভাড়া বাসায় রেখে কালু গোপনে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চলে আসেন এবং ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ করে দেন।.
তাছলিমা জানান, কয়েকদিন পর তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পান যে কালু নতুন করে আবার বিয়ে করেছেন এবং বিয়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকার ঠিকানা সংগ্রহ করে তিনি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আসেন। কোনো উপায় না পেয়ে গত ২ অক্টোবর থেকে টানা ১৭ দিন তিনি কালুর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন।.
.
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী সমাধানের উদ্যোগ নেয়। পরে উভয়পক্ষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বসে সমঝোতা করে।.
.
চরফলকন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বার জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি কালুর পরিবার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে তাছলিমাকে বুঝিয়ে দেন এবং তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়।.
অনশনরত তাছলিমা এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমার কাবিনের ৩ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বুঝে পেয়েছি। আমাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। এখন আমি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নিজ বাড়িতে চলে যাচ্ছি।". .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: