• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

সাত দফা দাবি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৫৪ পিএম;
সাত দফা দাবি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন
সাত দফা দাবি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:  মানব জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নয়, উন্নয়নের নামে ধ্বংস নয়, টেকসই সমাধান চাই’ শীর্ষক ¯েøাগানকে ধারণ করে সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশসহ মানববন্ধন করেছেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।.

 .


    বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্তদের সংগঠন ভূমি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির ব্যানারে ক্ষতিগ্রস্ত পাতিগ্রাম ও পাঁচ ঘরিয়া গ্রামবাসী পাতিগ্রাম মোড় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বড়পুকুরিয়া বাজার প্রদক্ষিণ শেষে সড়কের দু’পার্শ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেষ্টুন নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।.


    মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের সাত দফা দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ভূমি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, সাগির ইসলাম, আকাশ মাহমুদ, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।.


সাতদফা দাবির মধ্যে রয়েছে, কয়লাখনির কারণে ফাঁটলকৃত ঘরবাড়ীর ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, জনসাধারণের চলাচলের জন্য খনি এলাকার বাইপাস রাস্তাটি মেরামত করা, সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবার থেকে একজন করে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, পূর্বের অধিগ্রহণকৃত মসজিদগুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের স্থাপনা পরিদর্শনপূর্বক ক্ষতিপূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং দাবিগুলো দ্রæত বাস্তবায়ন করা। .


    ভূমি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান ও ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় ডিনামাইট বিষ্ফোরণের কারণে অতি মাত্রায় ভূকম্পনের জন্য খনি এলাকার মাটি দেবে যাওয়ায়সহ ঘরবাড়ীতে ব্যাপক আকারে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। গ্রামবাসীর জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক দাবি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা আন্দোলন সংগ্রাম করলেও খনি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বাস্তবমূখী তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার কারণে গ্রামবাসীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে ফাটল ধরাসহ হেলে দুলে যাওয়া ঘরবাড়ীতে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে খনি কর্তৃাপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীতে কয়লাখনি ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে।.


বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু তালেব ফরাজি বলেন, খনি সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো জরিপ করার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ, চীনা ও বাংলাদেশিসহ একটি টিম কাজ করছে। তারা প্রতি মাসে জরিপ করে প্রতিবেদন জমা দিয়ে থাকছেন। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১৩টি গ্রামের জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। জরিপের প্রতিবেদন জমা হলে সেগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যদি তারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 . .

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ