লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের চর কানিবগা এলাকায় মনির হোসেনের খামার থেকে চুরি হওয়া মহিষের মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো চোর চক্রের কোনো সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।.
.
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাকচর ইউনিয়নের সহিদ উল্যাহ বেপারীর ছেলে মনির হোসেনের চর কানিবগা এলাকায় একটি মহিষের খামার রয়েছে। খামারে প্রায় ২০০টি মহিষ পালিত হয়। খামারটি মনির হোসেনের তিন ভাই—মোহাম্মদ উল্যা, মো. শরীফ ও নোমান—পরিচালনা করে থাকেন।.
.
গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহিষগুলো খামারে রাখার পর পরদিন সকাল ৬টার দিকে দেখা যায়, খামার থেকে ৪টি মহিষ চুরি হয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার একটি মহিষ পাশের চর বংশী ইউনিয়নের মো. ইউছুফের কাছে শনাক্ত করা হয়।.
.
ইউছুফ দাবি করেন, তিনি মহিষটি খালেক মাঝির কাছ থেকে কিনেছেন। খালেক মাঝির ভাষ্যমতে, করাতিরহাট এলাকার সফি মোল্লার ছেলে কামাল হোসেন মহিষটি তার মামা বাহার আলী সর্দারের বলে বিক্রি করেন। তিনি মহিষটি ৯ হাজার টাকা বায়না দিয়ে কেনেন এবং পরে বাহার আলী সর্দারকে সঙ্গে এনে মোট ৩৭ হাজার টাকায় লেনদেন সম্পন্ন করেন।.
.
খালেক মাঝির উপস্থিতিতে চর রুহিতা এলাকার গরু ব্যবসায়ী আরিফ এবং বাহার আলী সর্দারের চাচাতো ভাই, চর রমনী মোহন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম আলী সর্দারও মহিষটি বাহার আলী সর্দারের বলে নিশ্চিত করেন।.
.
অন্যদিকে, ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন,.
.
“এক মাস আগে আমার খামার থেকে ৪টি মহিষ চুরি হয়। খোঁজাখুঁজির পর একটি মহিষ ইউছুফের কাছে পাই। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ এসে মহিষটি উদ্ধার করলেও ইউছুফের জিম্মায় রেখেছে। আমি চাই, চুরি হওয়া বাকি মহিষগুলো দ্রুত উদ্ধার হোক এবং প্রকৃত চোর চক্রকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”.
.
এদিকে অভিযুক্ত বাহার আলী সর্দার দাবি করেন,.
.
“কামাল হোসেন মহিষটি আমার কাছে বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা বায়না নেয়। পরে আমাকে না জানিয়ে খালেক মাঝির কাছে বিক্রি করে দেয়। আমি বিষয়টি জানতে পেরে আমার টাকা ফেরত চাই। এরপর সে আমাকে নিয়ে খালেক মাঝির কাছে গিয়ে টাকা ফেরত দেয়।”.
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: